নয়া দিল্লি: দেশে যুব প্রজন্মের কর্মসংস্থানের জন্য বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করা হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্পের(Agnipath Scheme), যার অধীনে ভারতীয় সেনা বাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে এই চাকরি স্থায়ী নয়, আপাতত স্বল্প মেয়াদের চুক্তিতে চার বছরের জন্য দেশের তিন নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বুধবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হল, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তারা ৪০ হাজার জওয়ান নিয়োগ করবে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করার পর থেকেই একদিকে যেমন প্রচুর মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছেন, তেমনই আবার অনেকেই বিক্ষোভে পথেও নেমেছেন। বুধবার এই প্রকল্প সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতেই ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু বলেন, “আগামী ১৮০ দিনের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৫০০০ অগ্নিবীর নিয়োগ করবে এবং বাকি ১৫ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া তার এক মাস পর থেকে শুরু হবে।”
তিনি জানান, এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য দেশজুড়ে মোট ৭৭৩টি জেলায় অভিযান চালানো হবে। দেশের প্রায় সমস্ত জেলাতেই ঘুরে, সেখান থেকে যোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে বের করা হবে। যদি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তবে তা দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীই করবেন। কারণ এই প্রকল্পে নিয়োগের যাবতীয় দায়ভার তাঁর উপরই দেওয়া হয়েছে।
কী এই অগ্নিপথ প্রকল্প?
প্রায় কয়েক দশক পুরনো যে পদ্ধতিতে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীতে যুব প্রজন্মকে নিয়োগ করা হয়, সেই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতেই অগ্নিপথ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সীদের তিন বছরের জন্য ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনায় নিয়োগ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে আপাতত ৪৬ হাজার জওয়ান নিয়োগ করা হবে। সমস্ত শ্রেণি-বর্ণের ও সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীদেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনও শ্রেণি-বর্ণের ভেদাভেদ থাকছে না। চার বছরের চাকরির মেয়াদের মধ্যে ৬ থেকে ৮ মাস প্রশিক্ষণ চলবে। চার বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ২৫ শতাংশ কর্মীকে স্থায়ী কর্মী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে।