কলকাতা: কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার করে অনেকেই বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কর্মজীবনে পা রাখার। চাকরি শুরু করার আগে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কোন ধরনের চাকরি বেছে নেবেন বা কোন বিষয়ে তাঁর ঝোঁক বেশি। কর্মজীবনের শুরুতেই যদি যথাযথ কেরিয়ার পরামর্শ পাওয়া যায়, তবে কর্মক্ষেত্রে উন্নতিও সহজেই হয়। আপনিও যদি চাকরি খোঁজেন বা প্রথম চাকরিতে যোগ দিয়ে থাকেন, তবে এই পরামর্শগুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন-
কর্মজীবনে আপনার সবথেকে বড় অস্ত্র জ্ঞান ও দক্ষতা। আর আপনার দক্ষতায় শান তখনই পড়বে, যখন আপনার জ্ঞান বাড়বে। তাই শেখা কখনও থামালে চলবে না। যত আপনি নতুন জিনিস শিখবেন, ততই আপনার কাজে উন্নতি হবে। বর্তমানে নতুন কিছু শেখা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেটের কারণে। বর্তমানে অনলাইনেই একাধিক কোর্স হয়। সহজেই অবসর সময়ে সেই নতুন নতুন স্কিল বা দক্ষতাগুলি শিখে নিতে পারেন।
নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকা এবং তা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা অত্যন্ত জরুরি। কর্মক্ষেত্রে পা রাখার পরও আপনাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা পূরণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দায়িত্বশীল হন। যে কাজই আপনাকে দেওয়া হোক না কেন, তা গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পূরণ করুন।
বাড়ি-ঘর যেমন গোছানো দেখতেই ভাল লাগে, তেমনই কর্মক্ষেত্রও একইরকমভাবে গোছানো থাকা উচিত। এর অর্থ কিন্তু নিজের ডেস্ক সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়া নয়। বরং নিজের দায়িত্বগুলি সম্পর্কে আরও সতর্ক হওয়া। নিজের দৈনন্দিন কাজকে গুছিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এতে ভাল অভ্যাস তৈরি হবে এবং কাজ করার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে।
একটি অফিসে কাজ করার অর্থ হল সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা। শুধুমাত্র নিজের কাজ নিয়ে দায়িত্বশীল হলেই চলবে না, পাশাপাশি আপনার সঙ্গে কর্মরত বাকিদের সঙ্গেও যাতে মিলেমিশে কাজ করতে পারেন, তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। আপনি যদি সহকর্মীদের সম্মান করেন, তবে সহকর্মীরাও প্রয়োজনের সময়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
ভাল কাজ করলে যেমন প্রশংসা জোটে, তেমনই আবার ভুল কাজ করলে তিরস্কার জুটবে, এটাও স্বাভাবিক। অফিসের বস যদি কোনও কাজের জন্য আপনার সমালোচনা বা তিরস্কার করেন, তবে তা নিয়ে মুখ ভার করে বসে না থেকে, সেটিকে ভালভাবে গ্রহণ করুন। আত্মসমীক্ষা করে দেখুন যে কাজে কোথায় গাফিলতি রয়েছে। প্রয়োজনে আপনি সহকর্মীদের কাছ থেকেও পরামর্শ বা তাদের মতামত গ্রহণ করতে পারেন।