কলকাতা: বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ জীবনও সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেই কারণেই কর্মজীবনের সূচনা থেকেই সঞ্চয় শুরু করা উচিত। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা অহেতুক খরচ করে বা সংসারের কোনও সমস্যার কারণে সঞ্চয় করতে পারেননি। ৪০-র কোঠায় দাঁড়িয়ে বা পার করে আপনার মাথার উপরে সুরক্ষিত একটি ছাদ থাকলেও, ব্য়াঙ্ক ব্যালেন্স প্রায় শূন্য। আর ১০ বা ২০ বছর পরেই আপনার অবসর নেওয়ার কথা, এদিকে অবসর জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য পর্যাপ্ত টাকা নেই! এক্ষেত্রে আপনাকেই সচেতন হয়ে সঞ্চয়ের পথে হাঁটতে হবে। কিন্তু কীভাবে এই সঞ্চয় করবেন, তা জানেন না অনেকেই।
৪০ বছরের মধ্যে কর্মজীবনের কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন আপনি। এই সময়ের মধ্যেই পছন্দসই বাড়ি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন সামগ্রী, যাবতীয় জিনিসই নিশ্চয়ই কেনা হয়ে গিয়েছে। ৪০ বছরে দাঁড়িয়ে যদি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় শুরু করেন, তবে প্রথমেই অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে ফেলতে হবে আপনাকে। বড় থেকে আরও বড় বাড়ি, কিংবা আরও বড় গাড়ি কেনার জন্য অহেতুক টাকা খরচ না করে, সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমান।
সন্তানদের পড়াশোনার খরচ বহন করতে গিয়েই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের ৮০ শতাংশ খরচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন নিজের সন্তানদের স্টুডেন্ট লোন নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে এগোতে বলতে পারেন, তেমনই অবসর জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কোনও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দীর্ঘ সময় ধরে কর্পোরেট জীবন কাটানোর ফলে ব্যবসা শুরুর প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা আপনার কাছে রয়েইছে, পাশাপাশি কিছুটা সঞ্চয় কাজে লাগিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে আপনি মানসিক শান্তিও পাবেন, আর্থিকভাবে সাবলম্বীও হবেন। মনে রাখবেন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার শেষ সুযোগ এটাই। তাই কোনও গড়মসি না করে, সময়ের পূর্ণ উপযোগ করুন।
অবসর জীবনকে সুখদায়ক বানানোর অন্যতম শর্ত হল মানসিক শান্তি। আপনার ঘাড়ে যতদিন ঋণের বোঝা থাকবে, ততদিন আপনি কোনওভাবেই মানসিক শান্তি পাবেন না। সেই কারণে ৪০-র ঘরে প্রবেশ করার আগে যাবতীয় ঋণ শোধ করে দিন এবং পরবর্তী সময়েও যাতে ঋণ নিতে না হয়, তা নিশ্চিত করুন।