কলকাতা: পড়াশোনার পাঠ শেষ করে সরকারি চাকরির স্বপ্ন সকলেই দেখে থাকেন। কিন্তু, সেই সরকারি চাকরিই যদিও হয় একেবারে শীর্ষ স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকের কাজ? সঙ্গে পাওয়া যায় মোটা বেতন, তবে তা অনেক চাকরি প্রার্থীর কাছে হয়ে দাঁড়ায় একেবারে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। প্রশাসনিক স্তরে নানা উুঁচু পদে কাজের মধ্যে বিডিও অফিসারের চাকরির স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু, স্বপ্ন দেখলেই তা সবসময় পূরণ করা যায় না, চাই সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা, অধ্যবসায় ও ধৈর্য্য।
সহজ কথায়, বিডিও-র(BDO) পুরো কথা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার(block development officer)। নাম থেকে বোঝা যাচ্ছে জেলাস্তরে কোনও নির্দিষ্ট ব্লকের উন্নতির দায়িত্ব থাকে এই বিডিও অফিসারদের কাঁধে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের আওতায় থাকা পঞ্চায়েতগুলির যাবতীয় কাজ থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন সহ ইত্যাদি যাবতীয় কাজের দায়িত্ব থাকে বিডিও অফিসারের কাঁধে। অন্যদিকে যে কোনও নতুন সরকারি প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব থাকে বিডিও অফিসারের উপর।
বিডিও-র চাকরির পরীক্ষা পরিচালনের দায়িত্বে থাকে মূলত পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি। কমবেশি প্রতিবছরই হয়ে থাকে এই পরীক্ষা। তবে আর্টস, কমার্স, সায়েন্স সহ যে কোনও শাখার পড়ুয়ারাই এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেন। সরকার স্বীকৃত কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি থাকলেই করা যাবে আবেদন। এমনকী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা করতে পারেন আবেদন। তবে বয়সের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট সীমারেখা। জেনারেল ক্যাটাগরির পড়ুয়ারা ২১ থেকে ৩৬ বছর বয়স পর্যন্ত এই চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারেন। অন্যদিকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি প্রার্থীরা ২১ থেকে ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির পড়ুারারা ২১ থেকে ৪১ বছর বয়স পর্যন্ত এই চাকরির পরীক্ষার জন্য আবদন করতে পারেন। চাকরি শুরু পর আপনার প্রাথিমক বেতন ৪০ হাজর থেকে শুরু হয়। সঙ্গে মেলে একাধিক সরকারি সুযোগ সুবিধা। পদন্নোতি ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেতনের পরিমাণও আরও বাড়তে থাকে।