World Bank Job: ‘অনুপ্রেরণা’ কম পড়লে একবার পড়ে নিন এই ছেলের ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কে’ চাকরি পাওয়ার গপ্পো
World Bank: দ্য ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পাস করা বৎসল দীর্ষদিন ধরে নিজের স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার জন্য ৬০০টি ইমেল এবং ৮০টি ফোন কল করেছিলেন।

নয়া দিল্লি: কথায় আছে কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই এবং সাফল্যে পৌঁছনোর কোনও শর্টকাট নেই, একথা আরও একবার প্রমাণ করলেন বৎসল নাহাতা নামের এক তরুণ। দ্য ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পাস করা বৎসল দীর্ষদিন ধরে নিজের স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার জন্য ৬০০টি ইমেল এবং ৮০টি ফোন কল করেছিলেন। গোটা ঘটনার কথা লিঙ্কডইনে শেয়ার করেছেন এই তরুণ। বৎসলের সাফল্যের গল্পে অনেকে যেমন অনুপ্রাণিত হয়েছে, অনেকে আবার তাঁর হার না মানার মানসিকতা কুর্ণিশ জানিয়েছেন অনেকে।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর সময় থেকে শুরু হয় এই তরুণের যাত্রা। সেই সময় বৎসল স্নাতকের তৃতীয় বর্ষে ছিলেন। তিনি লিখেছেন, “২ মাসের মধ্যে আমার স্নাতক হওয়ার কথা, কিন্তু আমার হাতে কোনও চাকরি ছিল না। ইয়েলের ছাত্র হিসেবে আমার মনে হচ্ছিল, এই সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়াশোনা করেও যদি আমার হাতে কোনও চাকরি না থাকে তবে আর লাভ কী? বাবা-মা যখন ফোন করে জানতে চাইত আমি কেমন আছি, তখন আমি তাদের সামনে শক্ত থাকার চেষ্টা করতাম। তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম কোনওভাবেই আমি দেশে ফিরে যাব না, আমার প্রথম আয় ডলারে হবে, এটাই আমার স্বপ্ন ছিল।”
নাহাতা জানিয়েছেন, “২ মাসে আমি লিঙ্কডইনে ১৫০০ কানেকশন তৈরি করেছিলাম, ৬০০ জনকে ইমেল করে চাকরির আবেদন করি। এমনকী ৮০ জনকে ফোন করেও চাকরি চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই আমাকে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। শেষে আমার রণকৌশল সাফল্যের মুখ দেখে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমার কাছে ৪টি সংস্থা থেকে চাকরির অফার ছিল, এবং আমি তাদের মধ্যে থেকে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ককে বেছে নিয়েছিলাম। ওপিটির তারা আমার ভিসা স্পনসর করতে রাজি হয়েছিলাম।”
দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক বৎসল জানিয়েছেন, কঠিন সময় তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, নেটওয়ার্কিংয়ের শক্তি থেকে অনেক দূর যাওয়া যেতে পারে এবং যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব হয়।
