নয়া দিল্লি: ভারতীয় সেনা (Indian Army) বাহিনীতে চাকরি করার নিয়মে বেশ কিছু বদল আসতে চলেছে। এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ম চালু হলে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে যোগদানের নিয়মেও বেশ কিছু বদল হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মূলত ‘ট্যুর অব ডিউটি’-র (Tour Of Duty) ক্ষেত্রে চালু থাকা নিয়মে বদল আনতে চলেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। জানা গিয়েছে, মে মাসের মধ্যে পরিকল্পনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। একবার ভারতীয় সেনা এই পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিলে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেনা বাহিনীর প্রস্তাবে শিলমোহর দেবেই, এমনটাই আশা শীর্ষ সেনাকর্তাদের, কারণ ২ বছরধরে কোনও নতুন নিয়োগ হচ্ছে না।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশনড অফিসার ও অন্যান্য পদে ১ লক্ষেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে। মার্চ মাসের ২৮ তারিখ সংসদে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তথ্য বলছে, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালে সব মিলিয়ে মোট ৯০ টি নিয়োদ সমাবেশ হয়েছিল। কিন্তু ২০২০-২০২১ বর্ষে মাত্র ৪৭ টি নিয়োগ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে ২০২১-২০২২ বর্ষে মাত্র ২ টি নিয়োগ সমাবেশ হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভাটও জানিয়েছিলেন করোনার কারণে নিয়োগ সমাবেশ বন্ধ ছিল।
ভারতীয় সেনাতে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যুব সমাজের অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। এমনকী নিয়োগ বন্ধ থাকার কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের ‘ট্যুর অব ডিউটি’-র কথা ভাবা হয়েছিল, চূড়ান্ত নিয়মে ৪ থেকে ৫ বছরের ‘ট্যুর অব ডিউটি’ চালু হতে পারে। কারণ ১ বছরের প্রশিক্ষণ এবং ২ বছর চাকরির পর সময়সীমা অনেকটাই ছোট বলে মনে করা হয়েছিল। এই মুহূর্তে ১৭ বছরের চাকরি জীবনের পর সেনারা অবসর গ্রহণ করেন। সেই ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে জাতের ভিত্তিতে সেনাদের রেজিমেন্ট ঠিক করা হয়। সেই সময় থেকে রাজপুতানা, জাট, শিখ, মাদ্রাজের মতো রেজিমেন্টের নিয়ম চালু রয়েছে। নতুন ‘ট্যুর অব ডিউটি’-র নিয়মে এই ধরনের নিয়ম ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হবে। ফলে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া যাবে।