আসানসোল: সশস্ত্র সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন। যা আইন অনুমোদন দেয় না। পুলিশের এই নোটিস পাওয়ার পরই তিনি তাঁর সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে দেন। জিতেন্দ্রকে আসানসোলে ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলে ১০০ মিটার দূর থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। উল্টে পুলিশকেই কটাক্ষ করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রাক্তন এই মেয়রের কটাক্ষ, ‘বেলা ২টোর পর বুথ লুঠ করা হবে। পুলিশ তারই ব্যবস্থা করছে। রাস্তা ফাঁকা করছে।’ ভোট পরিদর্শনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি। তৃণমূলের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গেও বচসা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীয়ের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি কদমস্কুলের বুথে।
এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি এবার ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী। সকালে তিনি হাজি কদমস্কুলের বুথ পরিদর্শনে যান। কিন্তু স্কুল-বুথে ঢোকার আগেই ভোটারদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে চৈতালির অভিযোগ, তৃণমূলের লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। চৈতালির সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জিতেন্দ্র ওই এলাকায় বহিরাগত, সেক্ষেত্রে তিনি কেন বুথে ঢোকার চেষ্টা করছেন? তাঁকে বাধা দেয় পুলিশও। জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা বক্তব্য, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট। সেক্ষেত্রে তিনি বুথ পরিদর্শনে আসতেই পারেন। পুলিশও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। চৈতালি তিওয়ারিকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হাউ হাউ করে কাঁদেন চৈতালি তিওয়ারি।
পুলিশের সামনেই আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে থাকেন চৈতালি। পুলিশকে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “ওদের এত হিম্মত কীভাবে হয়, আমার গায়ে হাত দেওয়ার।” এরই মধ্যে জিতেন্দ্রকে ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ক্যামেরার সামনে চৈতালি বলেন, “ওদের দাবি, আমাদেরকে কেউ ভোট দেবে না। ওরা এসে এখানে সন্ত্রাস করবে। ছাপ্পা মারবে। আর বাকি পুলিশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। পুলিশ দেখছে, এক জন মহিলার ওপর মার হচ্ছে। ভোট হতে দিচ্ছে না ওরা।” জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “এই যে ক্যান্ডিডেট এসেছে, তাঁর গায়েই হাত চালিয়ে দিল। তৃণমূলের লোক সব।” পুলিশের সামনেই কার্যত হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন চৈতালি তিওয়ারি।
পুলিশের কাছে অভিযুক্তকে আঙুল উঁচিয়ে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে, তিনি সেখান থেকে সরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা চৈতালি তিওয়ারির সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকা থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, “এখানে এসে ওরা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। জিতেন্দ্র তিওয়ারি যেন এখান থেকে যায়। সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যেন দেওয়া হয়।” তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, “যদি একটা ছবি আপনারা দেখাতে পারেন, কারোর গায়ে হাত তোলা হয়েছে, তাহলে আপনি বলবেন! এখানে একটা ড্রামা চলছে। যাতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে না পারেন।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আসানসোল: সশস্ত্র সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন। যা আইন অনুমোদন দেয় না। পুলিশের এই নোটিস পাওয়ার পরই তিনি তাঁর সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে দেন। জিতেন্দ্রকে আসানসোলে ধাদকা এনসি লাহিড়ি স্কুলে ১০০ মিটার দূর থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। উল্টে পুলিশকেই কটাক্ষ করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রাক্তন এই মেয়রের কটাক্ষ, ‘বেলা ২টোর পর বুথ লুঠ করা হবে। পুলিশ তারই ব্যবস্থা করছে। রাস্তা ফাঁকা করছে।’ ভোট পরিদর্শনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি। তৃণমূলের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গেও বচসা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীয়ের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি কদমস্কুলের বুথে।
এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি এবার ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী। সকালে তিনি হাজি কদমস্কুলের বুথ পরিদর্শনে যান। কিন্তু স্কুল-বুথে ঢোকার আগেই ভোটারদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে চৈতালির অভিযোগ, তৃণমূলের লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। চৈতালির সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জিতেন্দ্র ওই এলাকায় বহিরাগত, সেক্ষেত্রে তিনি কেন বুথে ঢোকার চেষ্টা করছেন? তাঁকে বাধা দেয় পুলিশও। জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা বক্তব্য, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট। সেক্ষেত্রে তিনি বুথ পরিদর্শনে আসতেই পারেন। পুলিশও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। চৈতালি তিওয়ারিকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হাউ হাউ করে কাঁদেন চৈতালি তিওয়ারি।
পুলিশের সামনেই আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে থাকেন চৈতালি। পুলিশকে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “ওদের এত হিম্মত কীভাবে হয়, আমার গায়ে হাত দেওয়ার।” এরই মধ্যে জিতেন্দ্রকে ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ক্যামেরার সামনে চৈতালি বলেন, “ওদের দাবি, আমাদেরকে কেউ ভোট দেবে না। ওরা এসে এখানে সন্ত্রাস করবে। ছাপ্পা মারবে। আর বাকি পুলিশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। পুলিশ দেখছে, এক জন মহিলার ওপর মার হচ্ছে। ভোট হতে দিচ্ছে না ওরা।” জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “এই যে ক্যান্ডিডেট এসেছে, তাঁর গায়েই হাত চালিয়ে দিল। তৃণমূলের লোক সব।” পুলিশের সামনেই কার্যত হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন চৈতালি তিওয়ারি।
পুলিশের কাছে অভিযুক্তকে আঙুল উঁচিয়ে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে, তিনি সেখান থেকে সরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা চৈতালি তিওয়ারির সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকা থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, “এখানে এসে ওরা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। জিতেন্দ্র তিওয়ারি যেন এখান থেকে যায়। সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যেন দেওয়া হয়।” তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, “যদি একটা ছবি আপনারা দেখাতে পারেন, কারোর গায়ে হাত তোলা হয়েছে, তাহলে আপনি বলবেন! এখানে একটা ড্রামা চলছে। যাতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে না পারেন।”