পশ্চিম বর্ধমান: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল পুরনিগমের ভোট। তার আগে, আসানসোলের সাকতোড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ আচার্য, ইন্দ্রানী আচার্য ও রাজীব বাউরি সমর্থনে রোড শো করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের প্রচারে গিয়ে কার্যত নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অধিকারী পুত্র (Suvendu Adhikari)। আসানসোলের কয়লা পাচারের টাকা পুলিশ অধিকর্তারা কলকাতার শান্তিনিকেতনে ঢেলে আসেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, শাসক শিবিরকে হুঁশিয়ারিও দিয়ে বলেন, পুরভোটে জোর করে তৃণমূল কোনও বুথ দখল করতে পারবে না।
রোড শো থেকে শুভেন্দু অভিষেকের নাম না করেই কটাক্ষ হেনে বলেন, “আসানসোলে কয়লার পয়সা আদায় করতে পুলিশ ব্যস্ত। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে এই শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন থানার দায়িত্বে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ আধিকারিকরা অবৈধ কয়লা পাচারের কোটি কোটি টাকা সবটাই কলকাতার শান্তিনিকেতনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।” উল্লেখ্য, ‘শান্তিনিকেতন’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন।
বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচন আবহেও অভিষেকের বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লাপাচারের অভিযোগ এনেছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, সমস্ত অবৈধ পাচারের খতিয়ান প্রমাণস্বরূপ নথি তাঁর কাছে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘তোলাবাজ ভাইপো, কয়লাচোর, বালিচোর, গরুচোর’ বলেও অভিষেককে তোপ দেগেছিলেন অধিকারী পুত্র। পাল্টা, তৃণমূলের তরফে ধেয়ে এসছিল ‘মীরজাফর’ তকমা।
সম্প্রতি, অবৈধ কয়লা-পাচার কাণ্ডে অভিষেকের আপ্তসহায়ক সুমিত রায়কে নোটিস পাঠায় ইডি। সেইমতো নিজাম প্যালেসে হাজিরাও দেন সুমিত। চলে জিজ্ঞাসাবাদও। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, “অভিষেক গোয়া দেখছে। ওকে কী করে আটকাবে তা বুঝতে পারছে না। বাড়িতে নোটিস পাঠাচ্ছে। সকাল-সন্ধে, যখন যেমন পারছে নোটিস পাঠাচ্ছে। আত্মীয়স্বজন, এমনকী ওর স্কুলের বন্ধুগুলোকেও সব নোটিস পাঠিয়েছে। মানে, আমাদের আর কারোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেবে না! ভয় দেখানোর খেলা চলছে। একটা দুষ্টু দুষ্টু খেলা চলছে! কিছু হলেই এজেন্সি পাঠিয়ে দিচ্ছে।”
উল্লেখ্য, কয়লা-কাণ্ডের মামলায় মূল সাক্ষী হিসেবে অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিতের নাম উঠে আসে। সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল। ‘ব্যক্তিগত কারণে’ ওই মামলার শুনানির শুরুতেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তার পর মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রবি কিসান কপুরের একক বেঞ্চে। তিনিও সুমিতের ‘অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের’ মেয়াদ বহাল রাখেন। এরপরেই সুমিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। রক্ষাকবচের মেয়াদবৃ্দ্ধির পর প্রথম নোটিসেই মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন সুমিত। কয়েকঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয় তাঁকে।
আসানসোলে বরাবরই কয়লাপাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। কিছুদিন আগেই কয়লাপাচার-কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দিয়েছে আদালত। প্রায় ১৩ মাস জেলে থাকার পর জামিন পান বিকাশ। তার আগে একাধিক সময়ে তিনি অসুস্থ ছিলেন। বিকাশের অসুস্থতার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় সিবিআই। পুরোপুরি সুস্থ হতেই তাঁকে ফের হাজিরা দিতে হবে ও সিবিআইকে তদন্তে সাহায্য করতে হবে এমনই নির্দেশ আদালতের।
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার
পশ্চিম বর্ধমান: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল পুরনিগমের ভোট। তার আগে, আসানসোলের সাকতোড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ আচার্য, ইন্দ্রানী আচার্য ও রাজীব বাউরি সমর্থনে রোড শো করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের প্রচারে গিয়ে কার্যত নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অধিকারী পুত্র (Suvendu Adhikari)। আসানসোলের কয়লা পাচারের টাকা পুলিশ অধিকর্তারা কলকাতার শান্তিনিকেতনে ঢেলে আসেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, শাসক শিবিরকে হুঁশিয়ারিও দিয়ে বলেন, পুরভোটে জোর করে তৃণমূল কোনও বুথ দখল করতে পারবে না।
রোড শো থেকে শুভেন্দু অভিষেকের নাম না করেই কটাক্ষ হেনে বলেন, “আসানসোলে কয়লার পয়সা আদায় করতে পুলিশ ব্যস্ত। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে এই শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন থানার দায়িত্বে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ আধিকারিকরা অবৈধ কয়লা পাচারের কোটি কোটি টাকা সবটাই কলকাতার শান্তিনিকেতনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।” উল্লেখ্য, ‘শান্তিনিকেতন’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন।
বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচন আবহেও অভিষেকের বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লাপাচারের অভিযোগ এনেছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, সমস্ত অবৈধ পাচারের খতিয়ান প্রমাণস্বরূপ নথি তাঁর কাছে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘তোলাবাজ ভাইপো, কয়লাচোর, বালিচোর, গরুচোর’ বলেও অভিষেককে তোপ দেগেছিলেন অধিকারী পুত্র। পাল্টা, তৃণমূলের তরফে ধেয়ে এসছিল ‘মীরজাফর’ তকমা।
সম্প্রতি, অবৈধ কয়লা-পাচার কাণ্ডে অভিষেকের আপ্তসহায়ক সুমিত রায়কে নোটিস পাঠায় ইডি। সেইমতো নিজাম প্যালেসে হাজিরাও দেন সুমিত। চলে জিজ্ঞাসাবাদও। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, “অভিষেক গোয়া দেখছে। ওকে কী করে আটকাবে তা বুঝতে পারছে না। বাড়িতে নোটিস পাঠাচ্ছে। সকাল-সন্ধে, যখন যেমন পারছে নোটিস পাঠাচ্ছে। আত্মীয়স্বজন, এমনকী ওর স্কুলের বন্ধুগুলোকেও সব নোটিস পাঠিয়েছে। মানে, আমাদের আর কারোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেবে না! ভয় দেখানোর খেলা চলছে। একটা দুষ্টু দুষ্টু খেলা চলছে! কিছু হলেই এজেন্সি পাঠিয়ে দিচ্ছে।”
উল্লেখ্য, কয়লা-কাণ্ডের মামলায় মূল সাক্ষী হিসেবে অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিতের নাম উঠে আসে। সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল। ‘ব্যক্তিগত কারণে’ ওই মামলার শুনানির শুরুতেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তার পর মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রবি কিসান কপুরের একক বেঞ্চে। তিনিও সুমিতের ‘অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের’ মেয়াদ বহাল রাখেন। এরপরেই সুমিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। রক্ষাকবচের মেয়াদবৃ্দ্ধির পর প্রথম নোটিসেই মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন সুমিত। কয়েকঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয় তাঁকে।
আসানসোলে বরাবরই কয়লাপাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। কিছুদিন আগেই কয়লাপাচার-কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দিয়েছে আদালত। প্রায় ১৩ মাস জেলে থাকার পর জামিন পান বিকাশ। তার আগে একাধিক সময়ে তিনি অসুস্থ ছিলেন। বিকাশের অসুস্থতার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় সিবিআই। পুরোপুরি সুস্থ হতেই তাঁকে ফের হাজিরা দিতে হবে ও সিবিআইকে তদন্তে সাহায্য করতে হবে এমনই নির্দেশ আদালতের।