পশ্চিম বর্ধমান: গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুরনির্বাচনের দিন আসানসোলের একাধিক ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছিল। এমনকী দুটি ওয়ার্ডে গুলি চলার খবরও সামনে আসে। যদিও কমিশন (State Election Commission) জানিয়ে দেয় কোথাও কোনও গুলি চলেনি। একইসঙ্গে আসানসোলের ৪০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ড্যামেজের কথা জানালেও স্ক্রুটিনির পর কমিশন জানিয়ে দেয় ইভিএম দ্রুত বদল হয়েছে। নতুন ইভিএম আনাতে তাতে পুরনো ভোটের কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, সেই ভোটগুলিও ভোট হিসেবে ধার্য হবে। সোমবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল আসানসোলে কার্যত সবুজ ঝড়। কিন্তু বাধ সাধল আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল ও সিপিএম প্রার্থী উভয়ই একই ভোট পেয়েছেন। ২০৫৮ ভোট প্রাপ্তি দুজনের। সোমবারই, টস করে কাউন্সিলর নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। দুপুর দুটোয় কমিশনের এসে পৌঁছবেন দুই প্রার্থী। থাকবেন কমিশনের প্রতিনিধিরাও। তাঁদের সামনেই টস করা হবে।
যদিও, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর সমসংখ্যক ভোট প্রাপ্তির ঘটনায় বেশ কিছুটা ‘খুশি’ কমিশন। কারণ, আসানসোল পুরনিগমে নির্বাচনের দিন একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। বলা হয়েছিল দেদার ছাপ্পা চলেছে বুথে বুথে, এমনকী, গুলি চলারও অভিযোগ উঠেছিল। সেদিক থেকে দুই প্রার্থী একই সংখ্যক ভোট পেলে কমিশন মনে করছে, বিরোধীরা যে অভিযোগ করছে তা কিছুটা হলেও ভ্রান্ত। কারণ, যদি, এতই হামলা বা ছাপ্পার ঘটনা ঘটত, তাহলে কখনওই দুইজন প্রার্থী একই ওয়ার্ডে সমান ভোট পেতেন না।
বস্তুত, পুরভোটে প্রথম থেকেই বেশ কড়া কমিশন। বিরোধীরা বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এদিকে, কমিশের ভূমিকায় প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে যদি কোনওরকম কোনও বড় বিক্ষোভ বা অশান্তি হয়, তাহলে কমিশনকে দায়বদ্ধ থাকতেই হবে। নয়ত, রাজ্যের বাকি পুরভোটগুলিতে কমিশনের হাত থেকে ক্ষমতার রাশ চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যপুলিশের বদলে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও নির্বাচন করানো হতে পারে। তাই আগেভাগেই কড়া কমিশন। সেখানে, একই ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর মধ্যে ‘টাই’ হওয়ায় কমিশন কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে যে ‘গুডবয় ইমেজ’-এর তকমা ধরে রাখতে অতটা সমস্যা হবে না, অন্তত এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
পূর্বে, পুরভোটে কখনও ‘টাই’ হলে টসের মাধ্যমেই কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করা হত। তখন ব্যবহার করা হত ১০ পয়সা। হেড-টেলের মাধ্যমে তা নির্বাচিত হত। এখন তা হয়ে গিয়েছে কার্ডে। দুটি কার্ডে নাম লেখা থাকবে দুই প্রার্থীর। কমিশনের কোনও অধিকর্তা দুই প্রার্থী ও কমিশনেরই অন্য অধিকর্তাদের সামনেই একটি কার্ড তুলবেন। তাতে যাঁর নাম থাকবে তিনিই হবেন কাউন্সিলর।
১০৬ টি ওয়ার্ড সমন্বিত আসানসোল পুরনিগমে (Asansol Municipal Election) ভোটার ৯ লক্ষেরও বেশি। মোট ৪৩০ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ এই পুরনিগমে। আসানসোলের ৪০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ড্যামেজের কথা জানালেও স্ক্রুটিনির পর কমিশন জানিয়ে দেয় ইভিএম দ্রুত বদল হয়েছে। নতুন ইভিএম আনাতে তাতে পুরনো ভোটের কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, সেই ভোটগুলিও ভোট হিসেবে ধার্য হবে। যদিও, আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। সূত্রের খবর, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন হতে পারে। এরইমধ্যে নতুন করে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর একই ভোট প্রাপ্তির ঘটনায় কার ভাগ্যে শিঁকে ছিড়বে সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
পশ্চিম বর্ধমান: গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুরনির্বাচনের দিন আসানসোলের একাধিক ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছিল। এমনকী দুটি ওয়ার্ডে গুলি চলার খবরও সামনে আসে। যদিও কমিশন (State Election Commission) জানিয়ে দেয় কোথাও কোনও গুলি চলেনি। একইসঙ্গে আসানসোলের ৪০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ড্যামেজের কথা জানালেও স্ক্রুটিনির পর কমিশন জানিয়ে দেয় ইভিএম দ্রুত বদল হয়েছে। নতুন ইভিএম আনাতে তাতে পুরনো ভোটের কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, সেই ভোটগুলিও ভোট হিসেবে ধার্য হবে। সোমবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল আসানসোলে কার্যত সবুজ ঝড়। কিন্তু বাধ সাধল আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল ও সিপিএম প্রার্থী উভয়ই একই ভোট পেয়েছেন। ২০৫৮ ভোট প্রাপ্তি দুজনের। সোমবারই, টস করে কাউন্সিলর নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। দুপুর দুটোয় কমিশনের এসে পৌঁছবেন দুই প্রার্থী। থাকবেন কমিশনের প্রতিনিধিরাও। তাঁদের সামনেই টস করা হবে।
যদিও, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর সমসংখ্যক ভোট প্রাপ্তির ঘটনায় বেশ কিছুটা ‘খুশি’ কমিশন। কারণ, আসানসোল পুরনিগমে নির্বাচনের দিন একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। বলা হয়েছিল দেদার ছাপ্পা চলেছে বুথে বুথে, এমনকী, গুলি চলারও অভিযোগ উঠেছিল। সেদিক থেকে দুই প্রার্থী একই সংখ্যক ভোট পেলে কমিশন মনে করছে, বিরোধীরা যে অভিযোগ করছে তা কিছুটা হলেও ভ্রান্ত। কারণ, যদি, এতই হামলা বা ছাপ্পার ঘটনা ঘটত, তাহলে কখনওই দুইজন প্রার্থী একই ওয়ার্ডে সমান ভোট পেতেন না।
বস্তুত, পুরভোটে প্রথম থেকেই বেশ কড়া কমিশন। বিরোধীরা বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এদিকে, কমিশের ভূমিকায় প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে যদি কোনওরকম কোনও বড় বিক্ষোভ বা অশান্তি হয়, তাহলে কমিশনকে দায়বদ্ধ থাকতেই হবে। নয়ত, রাজ্যের বাকি পুরভোটগুলিতে কমিশনের হাত থেকে ক্ষমতার রাশ চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যপুলিশের বদলে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও নির্বাচন করানো হতে পারে। তাই আগেভাগেই কড়া কমিশন। সেখানে, একই ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর মধ্যে ‘টাই’ হওয়ায় কমিশন কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে যে ‘গুডবয় ইমেজ’-এর তকমা ধরে রাখতে অতটা সমস্যা হবে না, অন্তত এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
পূর্বে, পুরভোটে কখনও ‘টাই’ হলে টসের মাধ্যমেই কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করা হত। তখন ব্যবহার করা হত ১০ পয়সা। হেড-টেলের মাধ্যমে তা নির্বাচিত হত। এখন তা হয়ে গিয়েছে কার্ডে। দুটি কার্ডে নাম লেখা থাকবে দুই প্রার্থীর। কমিশনের কোনও অধিকর্তা দুই প্রার্থী ও কমিশনেরই অন্য অধিকর্তাদের সামনেই একটি কার্ড তুলবেন। তাতে যাঁর নাম থাকবে তিনিই হবেন কাউন্সিলর।
১০৬ টি ওয়ার্ড সমন্বিত আসানসোল পুরনিগমে (Asansol Municipal Election) ভোটার ৯ লক্ষেরও বেশি। মোট ৪৩০ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ এই পুরনিগমে। আসানসোলের ৪০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ড্যামেজের কথা জানালেও স্ক্রুটিনির পর কমিশন জানিয়ে দেয় ইভিএম দ্রুত বদল হয়েছে। নতুন ইভিএম আনাতে তাতে পুরনো ভোটের কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, সেই ভোটগুলিও ভোট হিসেবে ধার্য হবে। যদিও, আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। সূত্রের খবর, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন হতে পারে। এরইমধ্যে নতুন করে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর একই ভোট প্রাপ্তির ঘটনায় কার ভাগ্যে শিঁকে ছিড়বে সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা