Debanshu On Siliguri Municipal Election Result 2022: ‘এ জন্মে অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার দেখা হল না কচি লেনিনদের’, দেবাংশুর কটাক্ষে ‘কচির’ ব্যাখ্যা দিলেন সৃজন

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 14, 2022 | 4:49 PM

Debanshu On Siliguri Municipal Election Result 2022: শিলিগুড়ি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো বিরোধী দল কোনো অভিযোগ করেননি বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির ফলাফলকে দেবাংশুর ব্যাখ্যা , "নিষ্কলঙ্ক" শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচনে মানুষের রায়।"

Follow Us

কলকাতা: সবার প্রথম প্রতিক্রিয়া। একমাত্র শিলিগুড়ির ফল নিয়েই প্রতিক্রিয়া। তখন গণনার পর্বের সবেমাত্র প্রথম ঘণ্টা পেরিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ট্রেন্ডেই পূর্বাভাস মিলেছিল। শিলিগুড়ি মডেল ভেঙে যায় এবার! অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয় অশোক ভট্টাচার্যের। বামেদের হাত থেকে শিলিগুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তৃণমূল, তা সফল হয়। জয়ের উচ্ছ্বাসে তখনও সুপ্রিমো কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি, কিন্তু যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ততক্ষণে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “বামেদের একমাত্র শিবরাত্রির সলতে অশোক ভট্টাচার্য রাজনৈতিক ভাবে নিভে গেলেন.. কলকাতার কচি লেনিনদের অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার দেখার ইচ্ছে এ জন্মে আর পূরণ হওয়ার নয়..” শিলিগুড়ি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো বিরোধী দল কোনো অভিযোগ করেননি বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির ফলাফলকে দেবাংশুর ব্যাখ্যা , “নিষ্কলঙ্ক” শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচনে মানুষের রায়।”

শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১০ ভোটে হার হয় বাম নেতার। এ দিন গণনা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ২০, ২৩ এবং ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন অভয়া বসু। লক্ষ্মী পাল জয়ী হন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন অমর আনন্দ দাস। কংগ্রেসের সুজয় ঘটক বিজয়ী ঘোষিত হন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

তবে অশোক ভট্টাচার্যের পরাজয়ে যেন বেশি উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। নিজের পরাজয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভোটে লড়ায় আপত্তি ছিল। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তও তুচ্ছ হয়ে যায়। দলের সিদ্ধান্তকেই তাই অগ্রাধিকার দিয়েছি।” সঙ্গে এখনও আত্মবিশ্বাসী তিনি। বললেন, “কমিউনিস্ট দলটা করি তো, হতাশায় ডুবে গেলে হবে না, ঘরে বসে থাকলে হবে না. ঘুরে দাঁড়াতে হবে।” পলিটিক্যালি রিজেকশনের তত্ত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ৩০০-র বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন বর্যীয়ান এক রাজনীতিক।

তবে দেবাংশুর এই মন্তব্যকে বিশেষ আমলই দিতে চাননি বাম যুব নেতারা। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “দেবাংশু ভালো গীতিকার, কিন্তু ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা নন। এটা সেদিনই বুঝেছি, যেদিন ও বলেছিল, রাজীব মুকুল সব্যসাচীকে ঘরে ঢুকতে দেবে না, দরজায় শুয়ে থাকবে। কিন্তু সেটা পারেনি। আর শেষে এটা কথা বলব, আমি লেনিনের পার্টি করি, এটা গর্বিত। দেবাংশু তো মদন মিত্রের পার্টি করে, ও কচিটা বোঝে, বাকিটা বোঝে না।’

এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষের বক্তব্য, “তৃণমূলের ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। ভয় পেয়ে ভুল ভাল বকবেও। ভোট লুট, গুলি চালিয়ে, বোমাবাজি করেও এই অবস্থা। দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছিল যাদের, শূন্য, হারিয়ে গেছে, ভবিষ্যৎ নেই…. আজ তারা বিরোধী।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

 

কলকাতা: সবার প্রথম প্রতিক্রিয়া। একমাত্র শিলিগুড়ির ফল নিয়েই প্রতিক্রিয়া। তখন গণনার পর্বের সবেমাত্র প্রথম ঘণ্টা পেরিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ট্রেন্ডেই পূর্বাভাস মিলেছিল। শিলিগুড়ি মডেল ভেঙে যায় এবার! অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয় অশোক ভট্টাচার্যের। বামেদের হাত থেকে শিলিগুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তৃণমূল, তা সফল হয়। জয়ের উচ্ছ্বাসে তখনও সুপ্রিমো কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি, কিন্তু যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ততক্ষণে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “বামেদের একমাত্র শিবরাত্রির সলতে অশোক ভট্টাচার্য রাজনৈতিক ভাবে নিভে গেলেন.. কলকাতার কচি লেনিনদের অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার দেখার ইচ্ছে এ জন্মে আর পূরণ হওয়ার নয়..” শিলিগুড়ি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো বিরোধী দল কোনো অভিযোগ করেননি বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির ফলাফলকে দেবাংশুর ব্যাখ্যা , “নিষ্কলঙ্ক” শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচনে মানুষের রায়।”

শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১০ ভোটে হার হয় বাম নেতার। এ দিন গণনা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ২০, ২৩ এবং ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন অভয়া বসু। লক্ষ্মী পাল জয়ী হন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন অমর আনন্দ দাস। কংগ্রেসের সুজয় ঘটক বিজয়ী ঘোষিত হন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

তবে অশোক ভট্টাচার্যের পরাজয়ে যেন বেশি উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। নিজের পরাজয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভোটে লড়ায় আপত্তি ছিল। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তও তুচ্ছ হয়ে যায়। দলের সিদ্ধান্তকেই তাই অগ্রাধিকার দিয়েছি।” সঙ্গে এখনও আত্মবিশ্বাসী তিনি। বললেন, “কমিউনিস্ট দলটা করি তো, হতাশায় ডুবে গেলে হবে না, ঘরে বসে থাকলে হবে না. ঘুরে দাঁড়াতে হবে।” পলিটিক্যালি রিজেকশনের তত্ত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ৩০০-র বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন বর্যীয়ান এক রাজনীতিক।

তবে দেবাংশুর এই মন্তব্যকে বিশেষ আমলই দিতে চাননি বাম যুব নেতারা। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “দেবাংশু ভালো গীতিকার, কিন্তু ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা নন। এটা সেদিনই বুঝেছি, যেদিন ও বলেছিল, রাজীব মুকুল সব্যসাচীকে ঘরে ঢুকতে দেবে না, দরজায় শুয়ে থাকবে। কিন্তু সেটা পারেনি। আর শেষে এটা কথা বলব, আমি লেনিনের পার্টি করি, এটা গর্বিত। দেবাংশু তো মদন মিত্রের পার্টি করে, ও কচিটা বোঝে, বাকিটা বোঝে না।’

এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষের বক্তব্য, “তৃণমূলের ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। ভয় পেয়ে ভুল ভাল বকবেও। ভোট লুট, গুলি চালিয়ে, বোমাবাজি করেও এই অবস্থা। দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছিল যাদের, শূন্য, হারিয়ে গেছে, ভবিষ্যৎ নেই…. আজ তারা বিরোধী।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

 

Next Article