নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। এদিকে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই পঞ্জাব(Punjab), উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) সহ পাঁচ রাজ্য়ে নির্বাচন (Assembly Election 2022) রয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ পরিদর্শনের পর জাতীয় নির্বাচন কমিশন(Election Commission of India)-র তরফে জানানো হয়েছিল যে, কোভিডবিধি (COVID Norms) মেনে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হোক, এমনটাই চায় সমস্ত রাজনৈতিক দল। কিন্তু যে হারে দেশজুড়ে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে নির্বাচনী প্রচার ও মিছিলে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, তা স্থির করতে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন।
করোনা বিধি ও সামাজিক দূরত্ব যাতে অনুসরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের তরফে উত্তর প্রদেশে পোলিং বুথ বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নfয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে ১১ হাজার বুথ বাড়ানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, শুধু উত্তর প্রদেশই নয়, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বাকি রাজ্যগুলিতেও বুথের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
করোনা সংক্রমণের মাঝেই বিধানসভা নির্বাচন হবে বলে করোনা টিকাকরণের উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী অফিসার থেকে শুরু করে ভোটকর্মী, সকলের টিকাকরণ যেমন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তেমনই ভোটকর্মীদের মধ্যে যাদের দুটি ডোজ় হয়ে গিয়েছে, তাদের যেন প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হয় এবং দ্রুত প্রিকশন ডোজ় দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও আলোচনা করবে কমিশন। ভোটাররাও যাতে টিকাপ্রাপ্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে আলোচনায় বসবে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের পরিধি, বুথের সংখ্যা ও রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে, কোন রাজ্যে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ভিভিপ্যাটের নিরাপত্তা, প্রত্য়ন্ত অঞ্চলে নির্বাচন ও স্ট্রং রুম তৈরি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকেই তারকা প্রার্থীদের দিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে কী কী করোনা নিয়মবিধি মানতে হবে, তা নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া, মিটিং, মিছিলের ক্ষেত্রেও জমায়েত ও করোনাবিধি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করতে পারে কমিশন। বুথে কতজন কর্মী উপস্থিত থাকবেন, তার ঘোষণাও করা হবে আগামিকালের বৈঠকের পর।