কলকাতা: কলকাতার ভোটে একটাও ফলস ভোটিং হয়েছে, এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে, এখনই কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন ফিরহাদ হাকিম। বিধাননগর পৌরনিগম নির্বাচনের আগের দিনই চেতলায় বসে চ্যালেঞ্জ করলেন মহানগরের মেয়র। বিধাননগর ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন বিরোধীরা। এমনকি দ্বিগুণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর জন্য ফেসবুকে সওয়াল করেছেন দলেরই যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই প্রেক্ষিতে ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে চেতলার কাউন্সিলর বলেন, “আমি চেতলায় বসে আছি। চেতলার একজন লোক বলুক, যেখানে এখানে ভোট দিতে পারেননি। তাঁকে নিয়ে আমি হাইকোর্টে যাব। আমি চ্যালেঞ্জ করব। নিজের ভোট নিজে দিয়েছে কিনা। যদি না দিয়ে থাকে ফলস ভোটিং হয়, আমি এই পোস্ট থেকে চেতলার কাউন্সিলর থেকে এখনই রেজিগনেশন দেব।”
ফিরহাদের আরও সংযোজন, “একটা লোক বললেই হবে। ২২ হাজারের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। তার মধ্যে এক জনও বলুন, যে তিনি নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনকে বলব দয়া করে দেখান, যে ওটা ফলস ভোটিং হয়েছে। তাহলে আমি এখনই রেজিগনেশন দেব। চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।” বিধাননগর পুরনিগমের ভোটও একশো শতাংশ শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শান্তিপূর্ণ শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মানুষ ভোট দেবেন। মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নেব।
প্রসঙ্গত, রাত পোহালেই বিধাননগরের নির্বাচন। শনিবারের চার পুরসভার নির্বাচনের বিধাননগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে এখানে নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের দিন প্রকাশ্যেই হকি স্টিক নিয়ে লাফালাফি, বাঁশ হাতে তাণ্ডব, আবাসনে ঢুকে উন্মত্ত দাপাদাপি, হামলা, আবাসিক ভোটারদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাত বছর আগের সেই সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন। বিজেপি এই মর্মে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়।
শুক্রবার হাইকোর্টে বিধাননগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি নির্বাচন কমিশন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেহেতু আদালতে কিছু জানায়নি এখনও, সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে হয়তো রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখছে কমিশন। এদিকে, ইতিমধ্যেই নবান্নে বিধাননগর পুরভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, এডিজি সিআইডি ও বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় কীভাবে বিধাননগরের ভোট, তা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে এই বৈঠকে। সেক্ষেত্রে পুলিশের কী কী পদক্ষেপ থাকতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: কলকাতার ভোটে একটাও ফলস ভোটিং হয়েছে, এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে, এখনই কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন ফিরহাদ হাকিম। বিধাননগর পৌরনিগম নির্বাচনের আগের দিনই চেতলায় বসে চ্যালেঞ্জ করলেন মহানগরের মেয়র। বিধাননগর ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন বিরোধীরা। এমনকি দ্বিগুণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর জন্য ফেসবুকে সওয়াল করেছেন দলেরই যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই প্রেক্ষিতে ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে চেতলার কাউন্সিলর বলেন, “আমি চেতলায় বসে আছি। চেতলার একজন লোক বলুক, যেখানে এখানে ভোট দিতে পারেননি। তাঁকে নিয়ে আমি হাইকোর্টে যাব। আমি চ্যালেঞ্জ করব। নিজের ভোট নিজে দিয়েছে কিনা। যদি না দিয়ে থাকে ফলস ভোটিং হয়, আমি এই পোস্ট থেকে চেতলার কাউন্সিলর থেকে এখনই রেজিগনেশন দেব।”
ফিরহাদের আরও সংযোজন, “একটা লোক বললেই হবে। ২২ হাজারের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। তার মধ্যে এক জনও বলুন, যে তিনি নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনকে বলব দয়া করে দেখান, যে ওটা ফলস ভোটিং হয়েছে। তাহলে আমি এখনই রেজিগনেশন দেব। চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।” বিধাননগর পুরনিগমের ভোটও একশো শতাংশ শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শান্তিপূর্ণ শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মানুষ ভোট দেবেন। মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নেব।
প্রসঙ্গত, রাত পোহালেই বিধাননগরের নির্বাচন। শনিবারের চার পুরসভার নির্বাচনের বিধাননগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে এখানে নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। ভোটের দিন প্রকাশ্যেই হকি স্টিক নিয়ে লাফালাফি, বাঁশ হাতে তাণ্ডব, আবাসনে ঢুকে উন্মত্ত দাপাদাপি, হামলা, আবাসিক ভোটারদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাত বছর আগের সেই সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেন। বিজেপি এই মর্মে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়।
শুক্রবার হাইকোর্টে বিধাননগরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিধাননগর পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি নির্বাচন কমিশন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেহেতু আদালতে কিছু জানায়নি এখনও, সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে হয়তো রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখছে কমিশন। এদিকে, ইতিমধ্যেই নবান্নে বিধাননগর পুরভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, এডিজি সিআইডি ও বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় কীভাবে বিধাননগরের ভোট, তা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে এই বৈঠকে। সেক্ষেত্রে পুলিশের কী কী পদক্ষেপ থাকতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা