পানাজি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ গোয়া বিধানসভা নির্বাচন (Goa Assembly Election)। দেশের সবথেকে ছোট রাজ্যের মসনদ দখলকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। শুক্রবার সদ্য গোয়া রাজনীতিতে পা রাখা তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) বিজেপি কে আক্রমণ করেন। মহুয়া জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে হারানো ‘সময়ের চাহিদা’। তিনি বলেন, ” সময় চাহিদা অনুযায়ী বিজেপিকে হারানো প্রয়োজন। বিজেপিকে হারাতে শেষ অবধি লড়াই করবে তৃণমূল।” শুক্রবার বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মহুয়ার দাবি কংগ্রেস একা বিজেপি কে হারাতে পারবে না, তাই বিজেপিকে হারাতে বিজেপি বিরোধী সকল দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
বিজেপিকে হারানো প্রসঙ্গে ২০১৭ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে আনেন মহুয়া। মহুয়া জানিয়েছেন, গোয়াতে কংগ্রেস যদি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করার মতন অবস্থানে থাকতো তবে তৃণমূল কংগ্রেসকে গোয়াতে আসতে হত না। তিনি বলেন, “গোয়াতে যদি বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যেই লড়াই হতো তবে তৃণমূলকে গোয়ায় আসতে হত না। কংগ্রেসের নিজেদের শক্তি সম্পর্কে অবহিত হওয়া উচিত এবং গোয়ার মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।”
ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। এতদিন গোয়াতে মূল লড়াই ছিল কংগ্রেস ও বিজেপির। ২০২১ সালে বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে বিপুল জয় পাওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ‘এবার লক্ষ্য দিল্লি’। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে পা রাখে তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতার অংশ হিসেবেই গোয়াতেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে তৃণমূল।
প্রাথমিকভাবে মূলত কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী বেশকিছু দল ভাঙিয়ে গোয়া তৃণমূল শক্তিশালী হয়েছে। গোয়ার প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফ্যালেরিওকে বাংলা থেকে রাজ্যসভার সংসদ মনোনীত করে গোয়ার মানুষকে মানুষকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সংগঠনকে চাঙ্গা করতে দুবার গোয়া ঘুরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, গোয়া নির্বাচনে হয় তৃণমূল জিতবে, নইলে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে। গোয়ার মানুষ তৃণমূলকে কতটা গ্রহণ করে, তার উত্তর মিলবে আগামী ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন Congress vs TMC: কংগ্রেস নেতারা ‘ভারত সম্রাট’ নন, জোটে জল ঢেলে কড়া বার্তা মহুয়ার