আহমেদাবাদ: আর দুইদিন বাদেই গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Assembly Election 2022)। শাসক দল বিজেপি (BJP)-র অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে দিল্লি ও পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। তবে আপকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে গণ্য করতেই নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, গুজরাটের নির্বাচনে আপ আদৌই খাতাও খুলতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গুজরাটের নির্বাচনের আগেই এমনটাই দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত সপ্তাহেই বিজেপির তরফে গুজরাট নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ক্ষমতায় এলে বিজেপি অ্যান্টি-র্যাডিক্যালাইজেশন সেল খোলা হবে বলেই জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেই অমিত শাহ বলেন, “এটা অত্যন্ত ভাল একটি উদ্যোগ। অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রেরও এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।”
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা, তিনি (নরেন্দ্র মোদী) মুখ্য়মন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাটের সার্বিক উন্নয়নের কথা বলেন। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীর একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কারণেই বিগত ২৭ বছর ধরে গুজরাটের সাধারণ মানুষের ভরসা রয়েছে বিজেপির উপরে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “গুজরাট নির্বাচনে বিজেপি এবারও জয়ী হবে এবং অভূতপূর্ব ফল করবে। সাধারণ মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমাদের দলের উপরে।”
গুজরাটের নির্বাচনে আম আদমি পার্টির প্রবেশ নিয়ে বিজেপি চিন্তিত কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি দলেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে সেই দলকে গ্রহণ করা হবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবেই সাধারণ মানুষের উপরে নির্ভর করছে। গুজরাটের মানুষের মনে বা মাথায় আপের কোনও জায়গা নেই। নির্বাচনের ফলের জন্য অপেক্ষা করুন, হয়তো দেখবেন জয়ী প্রার্থীদের তালিকায় আপের কোনও প্রার্থীরই নাম নেই।”
কংগ্রেসকেই এখনও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে বিজেপি, একথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “কংগ্রেসই এখনও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল, তবে ওই দল বর্তমানে চরম সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর তার প্রভাব গুজরাটেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।”
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস যে ভারত জোড়়ো যাত্রা শুরু করেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে কিছু প্রচেষ্টা তো করতেই হবে। আমি সবসময়ই মনে করি যে রাজনীতিবিদদের কঠোর পরিশ্রমী হওয়া উচিত। যখন কেউ পরিশ্রম করেন, তখন ভালই লাগে। কিন্তু রাজনীতিতে ক্রমাগত প্রচেষ্টাই ফল দেয়। তাই অপেক্ষা করুন, দেখা যাবে কী ফল হবে।”