ভোপাল ও রায়পুর: লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর আগে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এই মহা তাৎপর্যপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনগুলির দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ। মধ্য প্রদেশের ২৩০টি আসনেই এবং ছত্তীসগঢ়ের বাকি থাকা ৭০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। সকাল সাতটা থেকেই বুথে বুথে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটদানের পালা। এর আগে ৭ নভেম্বর, ছত্তীসগঢ়ের ২০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। এদিন দুই রাজ্যেই প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এবং বিজেপি। মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস ওঁত পেতে আছে বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য, আর ছত্তীসগঢ়ে উল্টো ছবি। কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
মধ্য প্রদেশে, ২০১৮ থেকে ২০২০ এই দুই বছর বাদ দিলে, একটানা ২০ বছর ক্ষমতায় আছে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। তবে, এবার সেই শাসনের অবসান ঘটবে বলে আশা করছে কংগ্রেস। দীর্ঘদিনের মুখ্যমন্ত্রী হলেও, শিবরাজ সিং চৌহানকে নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেনি বিজেপি। শিবরাজ সিং নিজেও বলেছেন, রাজ্য বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো তাঁর থেকেও যোগ্য নেতা আছেন। এই পরিস্থিতিতে পাল্লা কিছুটা হলেও কংগ্রেসের দিকে ভারি বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ছত্তীসগঢ়ে, কংগ্রেসের মাথাব্যথা ভূপেশ বঘেল বনাম টিএস দেও সিংয়ের দ্বন্দ্ব। ২০১৮-য় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি টিএস দেও সিং। কাজেই, এবার সহজে ভবি ভুলবে না। এর মধ্যে মহাদেব অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে ভুপেশ বঘেলের। তাই আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে জয়ের আশা করছে বিজেপি।
নির্বাচনের আগে মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ় – দুই রাজ্যেই তীব্র প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিংদের মতো বিজেপির তারকা প্রচারকরা একের পর এক সভা করেছেন এই দুই রাজ্যে। উল্টো দিকে কংগ্রেসও ভোট টানতে মাঠে নামিয়েছিল মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো বিশিষ্ট নেতাদের। মধ্য প্রদেশে প্রার্থী দিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের দল সমাজবাদী পার্টিও। মধ্য প্রদেশে সভা করেছেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদবও। বিজেপির প্রচারে বার বার তুলে ধরেছে, কংগ্রেসের দুর্নীতির কথা। সনাতন ধর্মকে রক্ষা এবং অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের কথাও উঠে এসেছে বিজেপির প্রচারে। অন্যদিকে কংগ্রেস তার প্রচারে জোর দিয়েছিল জাতি ভিত্তিক জনগণনা, ওবিসি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের উপর।