বেঙ্গালুরু: ১০ মে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ আছে। এই অবস্থায় জমে উঠেছে প্রচার। উত্তপ্ত প্রচার পর্বে বিজেপি-কংগ্রেস-সহ সকল রাজনৈতিক দলই জড়িয়ে পড়েছে বাকযুদ্ধে। বইছে কুকথার বন্যাও। এরই মধ্যে, মঙ্গলবার (২ মে), কর্নাটক নির্বাচনের প্রচার পর্বে ভাষার ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি এবং তাদের তারকা প্রচারকারীদের সতর্ক করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, তারা পর্যবেক্ষণ করেছে যে, প্রচার-বক্তৃতায় অত্যন্ত নিম্ন মানের ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সকল রাজনৈতিক দলকে ‘বক্তৃতার সময়ে সতর্ক থাকার এবং সংযমী হওয়ার’ আহ্বান জানাল নির্বাচন কমিশন।
রাজনৈতিক দলগুলি এবং তাদের তারকা প্রচারকারীদের নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক বিবৃতিতে, এদিন কমিশন প্রচারের সময় কী ধরনের ‘অনুপযুক্ত শব্দ এবং ভাষা’ ব্যবহার করা হচ্ছে তার উদাহরণও দিয়েছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক দলগুলি যাদের তারকা প্রচারকারীর মর্যাদা দিয়েছে, তাদের শব্দ ও ভাষা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলেছে, “এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ওঠে এবং এগুলি সংবাদমাধ্যমের নেতিবাচক দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে।”
সোমবারই, নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কর্ণাটকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন। কর্নাটকের মুখ্য সচিব এবং ডিজিপিদের সঙ্গে সঙ্গে গোয়া, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরল – কর্ণাটকের এই ছয়টি সীমান্তবর্তী রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার সমন্বয়ের পাশাপাশি নগদ, মদ, মাদকের মতো বিভিন্ন লোভনীয় পণ্যের আন্তঃরাজ্য চলাচলের উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো, আয়কর বিভাগের কর্তাদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কর্নাটকে ৩০৫ কোটি টাকার নগদ, মদ ও মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে বাজেয়াপ্ত করা পণ্যের মূল্য ছিল মাত্র ৮৩ কোটি টাকার।