KMC Election 2021: কোথাও ৬২ হাজার, কোথাও ৩৭ হাজার, ভোটের ব্যবধান ‘অস্বাভাবিক’ বলেই দাবি বিরোধীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 22, 2021 | 2:19 PM

KMC Election 2021: ১৩৪ টি আসনে ফুটেছে জোড়াফুল। তিন নির্দল প্রার্থী বলছেন, তাঁরাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাহলে, তৃণমূলের মোট শক্তি হবে, ১৩৭। ফের এক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের বোর্ড গঠন করার পথে তৃণমূল কংগ্রেস।

Follow Us

কলকাতা :  শাসক দল দাবি করেছে নির্বাচন শান্তিুপূর্ণ হয়েছে, আর বিরোধীদের দাবি, ভোটে পড়েছে অবাধ ছাপ্পা। পুরভোটে যে শাসক দল জিতবে, এ কথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একরকম মেনেই নিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু, এত বেশি ভোটের ব্যবধানে প্রার্থীরা জিতেছেন, যে তা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির। তাঁদের দাবি, ভুয়ো ভোট না পড়লে এত বেশি ভোটে জেতা সম্ভব নয়।

কোন কোন ওয়ার্ড নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন?

৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফৈয়াজ আহমেদ খান জিতেছেন ৬২ হাজার ভোটে, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৩৭ হাজার ভোটে, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে জীবন সাহার ভোটের ব্যবধান ২৮ হাজার, ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে শামস ইকবাল জিতেছেন ২৪ হাজার ভোটে, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পরেশ পাল জিতেছেন ২০ হাজার ভোটে, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিনু বিশ্বাসেরও জয়ের ব্যবধান ২০ হাজার, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশুতোষ দাস এবং ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের ক্ষেত্রেও ভোটের ব্যবধান ২০ হাজারের কিছু বেশি। এ ছাড়া ১৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অমল চক্রবর্তী ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের মনজর ইকবাল।

কী বলছে বিরোধীরা?

মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত ফল। ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। তাঁর দাবি, যে ভাবে ভোট হয়েছে তাতে বিরোধীদের একটি আসনও পাওয়ার কথা নয়। একই কথা বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খান ৬২ হাজার ভোটে জিতেছেন। সে কথা উল্লেখ করে, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ফৈয়াজ ভাইকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিৎ। এত জনপ্রিয়তা তো খোদ মুখ্যমন্ত্রীরও নেই। ফৈয়াজ ভাইকে অন্তত মেয়র বা উপ মুখ্যমন্ত্রী তো করাই উচিৎ।’

একই ভাবে ভোটকে প্রহসন বলে মনে করছে বাম ও কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমার একটাই প্রশ্ন, এটা করার কী দরকার ছিল? সবাই জানত আপনি জিতবেন। আমরাও জানতাম। এটা না করলেও চলত। সিপিএম নেতা রবীন দেবও দাবি করেন, একটা ওয়ার্ডে এত বেশি ভোট পাওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়।

উল্লেখ্য, ১৩৪ টি আসনে ফুটেছে জোড়াফুল। তিন নির্দল প্রার্থী বলছেন, তাঁরাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাহলে, তৃণমূলের মোট শক্তি হবে, ১৩৭। ফের এক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের বোর্ড গঠন করার পথে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবারই ঠিক হয়ে যাবে, কলকাতার মেয়র কে হতে চলেছেন।

আরও পড়ুন: Kejriwal on TMC: দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল! গোয়াতে তৃণমূল প্রতিযোগিতায় নেই, জানালেন কেজরীবাল

 

কলকাতা :  শাসক দল দাবি করেছে নির্বাচন শান্তিুপূর্ণ হয়েছে, আর বিরোধীদের দাবি, ভোটে পড়েছে অবাধ ছাপ্পা। পুরভোটে যে শাসক দল জিতবে, এ কথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একরকম মেনেই নিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু, এত বেশি ভোটের ব্যবধানে প্রার্থীরা জিতেছেন, যে তা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির। তাঁদের দাবি, ভুয়ো ভোট না পড়লে এত বেশি ভোটে জেতা সম্ভব নয়।

কোন কোন ওয়ার্ড নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন?

৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফৈয়াজ আহমেদ খান জিতেছেন ৬২ হাজার ভোটে, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৩৭ হাজার ভোটে, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে জীবন সাহার ভোটের ব্যবধান ২৮ হাজার, ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে শামস ইকবাল জিতেছেন ২৪ হাজার ভোটে, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পরেশ পাল জিতেছেন ২০ হাজার ভোটে, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিনু বিশ্বাসেরও জয়ের ব্যবধান ২০ হাজার, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশুতোষ দাস এবং ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের ক্ষেত্রেও ভোটের ব্যবধান ২০ হাজারের কিছু বেশি। এ ছাড়া ১৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অমল চক্রবর্তী ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের মনজর ইকবাল।

কী বলছে বিরোধীরা?

মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত ফল। ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই জয়ী হওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। তাঁর দাবি, যে ভাবে ভোট হয়েছে তাতে বিরোধীদের একটি আসনও পাওয়ার কথা নয়। একই কথা বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খান ৬২ হাজার ভোটে জিতেছেন। সে কথা উল্লেখ করে, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ফৈয়াজ ভাইকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিৎ। এত জনপ্রিয়তা তো খোদ মুখ্যমন্ত্রীরও নেই। ফৈয়াজ ভাইকে অন্তত মেয়র বা উপ মুখ্যমন্ত্রী তো করাই উচিৎ।’

একই ভাবে ভোটকে প্রহসন বলে মনে করছে বাম ও কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমার একটাই প্রশ্ন, এটা করার কী দরকার ছিল? সবাই জানত আপনি জিতবেন। আমরাও জানতাম। এটা না করলেও চলত। সিপিএম নেতা রবীন দেবও দাবি করেন, একটা ওয়ার্ডে এত বেশি ভোট পাওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়।

উল্লেখ্য, ১৩৪ টি আসনে ফুটেছে জোড়াফুল। তিন নির্দল প্রার্থী বলছেন, তাঁরাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাহলে, তৃণমূলের মোট শক্তি হবে, ১৩৭। ফের এক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের বোর্ড গঠন করার পথে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবারই ঠিক হয়ে যাবে, কলকাতার মেয়র কে হতে চলেছেন।

আরও পড়ুন: Kejriwal on TMC: দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল! গোয়াতে তৃণমূল প্রতিযোগিতায় নেই, জানালেন কেজরীবাল

 

Next Article