কলকাতা: কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডটি মেটিয়াবুরুজ এলাকার অন্তর্গত। এই ওয়ার্ডের উত্তরে এস এ ফারুকি রোড বা আকরা রোড এবং মুদিয়ালি রোড, দক্ষিণে রামদাস হাতি মৌজা। পূর্বদিকে রয়েছে বিচালিঘাট লেন, ধানখেতি খাল, মুদিয়ালি রোড ও ফতেপুর ২ নম্বর লেন। আর পশ্চিমে আছে সন্তোষপুর রোড।
গত পুরভোটের ফলাফল: ২০১৫ সালের পুরসভা ভোটে ১৩৬ ওয়ার্ডে জিতে কাউন্সিলর হন সিপিএমের শ্যামসুন্দর বেরা। পরের বার অর্থাৎ, ২০১০ সালে অবশ্য এই ওয়ার্ডের দখল নেয় তৃণমূল। জেতেন তৃণমূল প্রার্থী শামসুজ্জামান আনসারি। পরের বার ২০১৫ সালেও তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবারও জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন শামসুজ্জামানই। এবার ফের তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জিতলেই হ্যাটট্রিক!
উল্লেখ্য, সাড়ে ছয় বছর আগে ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভার ভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টি আসনে জয়ী হয়ে ছোট লালবাড়ি দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। বিজেপি জিতেছিল ৭টি ওয়ার্ডে আর কংগ্রেস জিতেছিল পাঁচটি ওয়ার্ডে। তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। তবে ভোটের পরে বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। নির্দল প্রার্থীরাও এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে নাম লিখিয়েছিলেন শাসক শিবিরে। তৃণমূলের শক্তি বেড়ে হয়েছিল ১২৬।
২০২১ সালের পুরভোট: এবার ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল টিকিট দিয়েছে শামসুজ্জামান আনসারিকে। গত দুবার তিনিই জয় এনে দিয়েছেন তৃণমূলকে। আর বিজেপি শিবির প্রার্থী করেছে অনিল ভার্মাকে। অন্যদিকে সিপিএম টিকিট দিয়েছে শুভাশিস পোদ্দারকে।
কলকাতা বন্দর-মেটিয়াবুরুজ || ওয়ার্ড নম্বর- ১৩৬ (বোরো- ১৫) || ২০২১ ফলাফল |
দল |
প্রার্থী |
ভোট |
শতাংশ |
২০১৫ (শতাংশ) |
তৃণমূল |
শামসুজ্জামান আনসারি |
১০৭৬১ |
৮১.৪৬ |
৪৫.২১ |
বিজেপি |
অনিল ভার্মা |
১০৫৪ |
৭.৯৮ |
৯.২৬ |
বাম |
শুভাশিস পোদ্দার |
৯৫২ |
৭.২১ |
১০.১০ |
কংগ্রেস |
সিপিএমকে সমর্থন |
– |
– |
৩২.৭৮ |
অন্যান্য |
– |
১৮৭ |
১.৪২ |
২.৬৫ |
কলকাতা বন্দর-মেটিয়াবুরুজ || ওয়ার্ড নম্বর- ১৩৬ (বোরো- ১৫)|| ২০১৫ ফলাফল |
দল |
প্রার্থী |
ভোট |
শতাংশ |
তৃণমূল |
সামজ্জুমান আনসারি |
৫৪৭৫ |
৪৫.২১ |
বিজেপি |
সুব্রত ভৌমিক |
১১২১ |
৯.২৬ |
বাম |
বিজলী সেন |
১২২৩ |
১০.১০ |
কংগ্রেস |
মহম্মদ আখতার |
৩৯৬৯ |
৩২.৭৮ |
অন্যান্য |
– |
৩২১ |
২.৬৫ |