নয়া দিল্লি: রবিবার শেষ হল বিজেপির জাতীয় অধিবেশন। অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, সামনের ১০০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-কে ৪০০ আসনে জয়ী হতে হলে, বিজেপিকে ৩৭০-এর বেশি আসনে জিততে হবে। আর তার জন্য সামনের ১০০ দিনের মধ্যে সকল ভোটারকে বিজেপির পক্ষে আনতে হবে। তবে, ১০০ দিন নয়, সামনের ১০ দিনেই জাতীয় রাজনীতিতে বড়সড় রদবদল ঘটতে পারে বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। বিভিন্ন বিরোধী দল থেকে সুনামির মতো বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন নেতারা।
নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদনে বিজেপির এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে যোগদান উৎসব। চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত। এই নয় দিনে, কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি এবং আম আদমি পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের স্রোত আসবে বিজেপিতে। সকলেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন। ওই সূত্রের দাবি, শুধু পোড় খাওয়া সাংসদ এবং বিধায়করাই নন, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে নির্বাচিত অনেক বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক। ওই সূত্রের দাবি, এই বিষয়ে সব কিছু তৈরি রয়েছে। যোগদান শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, মধ্য প্রদেশে কংগ্রেসের অন্যতম মুখ, কমল নাথ এবং তাঁর ছেলে নকুল, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চুকিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন বলে জল্পনা চলছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কারও সঙ্গ এই বিষয়ে তাঁর কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন কমল নাথ। তবে, জল্পনা ক্রমে বাড়ছে। তাঁর ছেলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে পরিচয় বিভাগে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পৃক্ততা মুছে দিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও, গেরুয়া শিবির সূত্রে জানানো হয়েছে, একজন স্পষ্টবাদী কংগ্রেসি নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ওই নেতা ইউপিএ সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তবে, দুই তরফে এখনও কোনও আলোচনা শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
গত কয়েকদিনে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন পরিচিত কংগ্রেসী নেতা। মহারাষ্ট্রে সকলকে চমকে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চভন। যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, লালগঞ্জের বিএসপি সাংসদ সঙ্গীতা আজাদ এবং আম্বেদকর নগরের বিএসপি সাংসদ রিতেশ পান্ডেও বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। দলে দলে কংগ্রেস নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা। তিনি বলেছেন, এভাবে চললে ভারত বিজেপি মুক্ত হয়ে যাবে। বিজেপি দলটাই কংগ্রেসে পরিণত হবে। তিনি যাই বলুন, ২০ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলবদলের স্রোত কতটা জোরদার হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।