Madhya Pradesh: লাগাতার বিক্ষোভের মুখে ‘বিকাশ যাত্রা’, চাপে বিজেপি; ড্যামেজ কন্ট্রোলে ভরসা ‘গুজরাট মডেল’

Madhya Pradesh Assembly election 2023: মধ্য প্রদেশে বিধানসভা নির্বচনের আগে সরকারি সমীক্ষা রিপোর্টে চাপে পড়েছে বিজেপি। ড্যআমেজ কন্ট্রোলে গুজরাট মডেলে ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির।

Madhya Pradesh: লাগাতার বিক্ষোভের মুখে 'বিকাশ যাত্রা', চাপে বিজেপি; ড্যামেজ কন্ট্রোলে ভরসা 'গুজরাট মডেল'
সমীক্ষার ফলে চাপে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2023 | 2:50 PM

ভোপাল: চলতি বছরের নভেম্বরেই মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, সরকারের কাজের ফিরিস্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিকাশ যাত্রার আয়োজন করেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু, এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ছেন বিজেপি বিধায়করা। এর ফলে স্নায়ুর চাপ বাড়ছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্কের। সরকারি সংস্থার করা সমীক্ষার ফলাফলও চাপে রেখেছে বিজেপিকে। এই অবস্থায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ‘গুজরাট মডেল’ অবলম্বন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের ১৩টি আসনে।

২৩০ আসনের মধ্য প্রদেশ বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ১১৬। কিন্তু, সরকারি সংস্থা এলআইবির সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি এবার ১০০-রও কম আসন পেতে চলেছে। বিজেপির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশের করা সমীক্ষাতেও মাত্র ৯০ আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত বলে জানা গিয়েছে। দুই সমীক্ষাই শিবরাজ সিং চৌহান সরকার এবং রাজ্য বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। কংগ্রেস ১১৪টি আসন জিতে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে ১৫ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে এসেছিল কংগ্রেস। বিজেপিকে ১০৯টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। পরে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, ক্ষমতার হাতবদল ঘটেছিল।

এই অবস্থায় মধ্য প্রদেশেও গুজরাট মডেল প্রয়োগের পথে যাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আশা, গুজরাট মডেলই বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পাড় করার ক্ষেত্রে কার্যকর অস্ত্র হয়ে উঠবে। কী সেই গুজরাট মডেল? গুজরাট মডেল অনুযায়ী খারাপ ভাবমূর্তির বিধায়কদের আর নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে না। বিকাশ যাত্রা চলাকালীন, বহু বিজেপি বিধায়ক তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। এই বিধায়করা টিকিট নাও পেতে পারেন।

একই সঙ্গে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ১৩টি আসনে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ১৩০০-এরও কম। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ছয়টিতে, বাকি সাতটিতে তাদের হার হয়েছিল। তবে, এই সাতটি আসনে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান নোটার প্রাপ্ত ভোটের থেকেও কম ছিল। অর্থাৎ, যদি নোটার ভোট বিজেপি তাদের ঝুলিতে আনতে পারত, সেই ক্ষেত্রে এই ৭ আসনে হারতে হত না। তাই এই ১৩টি আসনে জয় নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে বিজেপি। এই আসনগুলিতে জাতপাতের সমীকরণ যাচাই করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুজরাট মডেল অনুসরণ করে, আদিবাসী ভোটকে গেরুয়া শিবিরে টানার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।