Municipality Elections 2022: ‘ইভিএম ভাঙলে জেলে যেতে হবে’, অর্জুনকে বার্তা ফিরহাদের

Municipality Elections 2022: অর্জুন সিংকে গব্বর সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। বাঘের ছাল পড়ে থাকলে সে বাঘ হয় না। এমনও মন্তব্য করেন তিনি।

Municipality Elections 2022: 'ইভিএম ভাঙলে জেলে যেতে হবে', অর্জুনকে বার্তা ফিরহাদের
অর্জুনের পাল্টা ফিরহাদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2022 | 6:27 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: ‘বুথ দখল করলে ইভিএম ভাঙব’, পুরপ্রচারে বেরিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেছিলেন অর্জুন সিং। এবার তারই পাল্টা দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “যে ইভিএম ভাঙবে, সে জেলে থাকবে।” ভাটপাড়ায় অর্জুন গড়ে দাঁড়িয়েই পাল্টা হুমকি দিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “যে ইভিএম ভাঙবে সে জেলে থাকবে। কোনওরকম গুন্ডামি করে ভোট করানো যাবে না।” রাত পোহালেই রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোট। যুযুধান প্রতিপক্ষের লড়াইয়ে তপ্ত বাংলা। এরই মধ্যে ভাটপাড়া অর্জুন গড়ে দাঁড়িয়ে অর্জুনকে একহাত নিলেন ফিরহাদ হাকিম। অর্জুন সিংকে গব্বর সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। বাঘের ছাল পড়ে থাকলে সে বাঘ হয় না। এমনও মন্তব্য করেন তিনি।

২১ ফেব্রুয়ারি পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের অর্জুন সিং। ভোটে কারচুপি হলে ইভিএম ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। গত রবিবার গারুলিয়ায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েই হুমকি দেন তিনি। অর্জুন বলেন, “বুথ দখল করলে মেশিন ভাঙব। ইভিএম ভাঙব। ইতিহাস করে দেব আমরা। যে প্রিসাইডিং অফিসার ভুয়ো ভোট দেওয়াবে, তার চাকরি যাবে।” অর্জুন সিংয়ের এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়ায়।

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “মানসিক অবসাদ থেকে ওঁ একথা বলছেন। বারবার মন্ত্রিসভায় বদলের পরও বাহুবলীরা কোনও পদ পাচ্ছেন না। সুকান্ত মজুমদার নতুন ছেলে, পদ পেয়ে গেলেন। অথচ অর্জুন সিং পাচ্ছেন না। মানসিক অবসাদ তো থাকবেই।”

অর্জুন সিংয়ের মন্তব্যের পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোনওরকমের গুন্ডামি বরদাস্ত করা চলবে না। ইভিএম ভাঙলে জেলে যাবে। এখানে মানুষ ভোট দেবে, মানুষ যাকে ভোট দেবে, সবাইকে মাথা পেতে নিতে হবে। কোনও জায়গায় নোংরামি চলে না। আমরা ভোট লুঠ করি না।”

আরও পড়ুন: ‘ওইখানে ভাই ঘর থেকে বেরোতে পারছে না’ ইউক্রেন থেকে ডাক্তারি ছেলেকে ফেরাতে কাতর আবেদন পরিবারের