চণ্ডীগঢ়: পঞ্জাব সফরের গিয়েই প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সকলেই কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাব সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নিকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছিল। যাবতীয় অভিযোগের মাঝেও চন্নি জানিয়েছিলেন ওদিন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি হয়নি। গতকালই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানালেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর চরণজিৎ সিং চন্নি।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতির খেলা বন্ধ হওয়া উচিৎ।” প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার রায়ে তিনি সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করার কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা এবং বিচারপতি হিমা কোহলি ও সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছিলেন কমিটিতে ডিজিপি চণ্ডীগঢ়, জাতীয় তদন্ত সংস্থার মহাপরিদর্শক, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং পঞ্জাবের অতিরিক্ত ডিজিপি থাকবেন। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল সব তদন্ত কমিটির কাজ স্থগিত থাকবে শুধুমাত্র এই কমিটিই ঘটনার তদন্ত করবে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালেই পঞ্জাবের ভাতিন্দাতে অবতরণ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেনা হেলিকপ্টারে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় বেশ কিছু আন্দোলনরত কৃষকদের অবরোধের কারণে ব্রিজ অবরুদ্ধ। বাধা পেয়ে ব্রিজেই দাঁড়িয়ে থাকে নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। পরে নিজের কর্মসূচি বাতিল করে আবার ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনার পর বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করা উদ্দেশ্য নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল ও ব্রিজে বিক্ষোভ সরিয়ে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। পঞ্জাব সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সম্পর্কে আগেভাগে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।