আহমেদাবাদ: বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ভারতের। ২০০৩ সালের মতো ২০২৩ সালেও ভারতকে হারিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপের ট্রফি উঠল অস্ট্রেলিয়ার হাতে। রবিবারের এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়েছিলেন। প্রতিটি কোণা ভর্তি ছিল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের। দর্শকাসনে সপরিবারে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান থেকে শুরু করে দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং সহ একাধিক তারকা যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে যখন উত্তেজনায় ফুটছেন সকলে, সেখানেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ক্রিকেট বিশ্বকাপে মিশে গেল রাজনীতির রং।
বিশ্বকাপ নিয়ে প্রথম রাজনৈতিক খোঁচা দেন শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। রবিবার তিনি বলেন, “ক্রিকেটের মধ্য়ে রাজনীতি আনা উচিত নয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম বিজেপির প্রদর্শনী হয়ে গিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একযোগে আক্রমণ করে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদী বল করবেন, অমিত শাহ ব্যাট করবেন। আর বিজেপি কর্মীরা বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করবে… ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতি আনার কোনও প্রয়োজন নেই কিন্তু আহমেদাবাদে সেটাই হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ভারত জিতলে তো তাঁর কৃতিত্বও রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্যই ভারত বিশ্বকাপ হাতে তুলতে পেরেছে-এই রকম কথা শুনলেও আমি অবাক হব না। আজকাল দেশে সব কিছুই সম্ভব।”
অন্যদিকে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কংগ্রেসকে ক্রিকেট টিমের সঙ্গে তুলনা করে আক্রমণ করেন। রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসেন এবং দলের জন্য রান করেন। কিন্তু কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব এতটাই বেশি যে স্কোর করার বদলে ওদের নেতারা একে অপরকে আউট করতেই পাঁচ বছর কাটিয়ে দেয়। যখন ওদের টিম এত বাজে, তখন কে রান করবে? আপনাদের জন্য কী কাজ করবে ওরা?”