হায়দরাবাদ: কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-কে হারিয়ে তেলঙ্গানার ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালে অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে গঠিত হয় এই রাজ্য। সেই রাজ্য গঠনের সময় যে আন্দোলন হয়েছিল, তাতে বড় ভূমিকা ছিল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। তার ফলও মিলেছিল ভোটে। পর পর দুবার জিতেছিল তাঁর দল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হ্যাটট্রিক করা হল না কেসি রাওয়ের। তেলঙ্গানায় প্রথম বার ক্ষমতা দখল করল কংগ্রেস। কিন্তু তেলঙ্গানায় ক্ষমতা দখল খুব একটা সহজ ছিল না হাতশিবিরের কাছে। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করেই দক্ষিণ ভারতের অপর এক রাজ্য দখলে সক্ষম হল ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল।
কেসিআর-কে ক্ষমতা থেকে সরাতে গত কয়েক বছর ধরেই প্রস্তুতি শুরু করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সে কাজ ছিল বেশ কঠিন। কেসিআর-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও বেশ কিছু জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করেছিল কেসি রাওয়ের সরকার। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছরে সে রাজ্যে শক্তিশালী হয়েছে বিজেপি এবং আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম। সেই সঙ্গে তেলুগু দেশম পার্টির কিছু পকেট ভোটও রয়েছে তেলুগুভাষী এই রাজ্যে। সব হিসাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ মিলিয়ে বাজিমাত করল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের এই জয়ের পর ফের চর্চায় এসেছেন ভোটকুশলী সুনীল কানুগোলুর নাম। তেলঙ্গানায় কংগ্রেস জয়ের জন্য সুনীলের উপর ভরসা করেছিল অনেকটাই। সে রাজ্য তাঁকে সম্পূর্ণ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকের পর তেলঙ্গানায় কংগ্রেসকে সাফল্যের মুখ দেখালেন সুনীল। কেসি রাওয়ের মতো কোনও জনপ্রিয় মুখ কংগ্রেসের না থাকলেও বাজিমাত করল সেই কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই তেলঙ্গানার রাজনীতির জল মাপছিলেন সুনীল। তিনি বুঝেছিলেন, তেলঙ্গানায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি মানেই কেসি রাওয়ের গদি পোক্ত হওয়া। তাই বিজেপির ক্ষমতা বৃদ্ধি রুখতে কৌশল তৈরি করেছিলেন। সেই কাজে তিনি সফল। তার পর ওয়াইএস শর্মিলাকে ভোটের লড়াই থেকে বিরত রাখেন। কারণ সুনীল জানতেন ওয়াইএস শর্মিলা ভোটে লড়লে কংগ্রেসের লোকসান সবথেকে বেশি। সুনীলের কাজ আরও সহজ হয়ে যায়, চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার পর।