হায়দরাবাদ: বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকেই কিছুটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল। রবিবার ভোটগণনা শুরু হতেই কেসিআর-এর ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতিকে পিছনে ফেলে দিয়ে ছুটছে কংগ্রেস। কামারেড্ডিতে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছেন খোদ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বড়সড় ব্যবধানে সেখানে এগিয়ে রয়েছে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি। সরকার গঠনের জন্য দরকার ৬০টি আসন। লেটেস্ট ট্রেন্ড বলছে, কংগ্রেস এগিয়ে ৬৬টি আসনে। কেসিআর-এর দল সেখানে এগিয়ে আছে ৪৫টি আসনে। আর এই ট্রেন্ড আসতেই, সরকার গঠনের বিষয়ে ভীষণভাবে আশাবাদী কংগ্রেস শিবির। একইসঙ্গে ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কাও করছে তারা। সেরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে, বিশেষ বাসের ব্যবস্থাও করে রাখা হচ্ছে।
হায়দরাবাদের এক অভিজাত হোটেলের বাইরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে লাক্সারি বাস। সবগুলিই স্লিপার ক্লাস বাস। হায়দরাবাদের ওই অভিজাত হোটেলের কাছে দেখা মিলল পড়শি রাজ্য কর্নাটকের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রহিম খানের। কর্নাটকের মন্ত্রী বলছেন, “যখন থেকে কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতা এসেছে, তখন থেকে তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের পালে হাওয়া দেখা গিয়েছে।” কর্নাটক এখন কংগ্রেসের অন্যতম গড়। সেখানে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। তাহলে কি সেরকম কোনও ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা তৈরি হলে জয়ী প্রার্থীদের বেঙ্গালুরুতে বা কর্নাটকের কোথাও নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে কংগ্রেস শিবির? যদিও কর্নাটকের মন্ত্রী বলছেন, “এখনও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে হাইকমান্ড এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
উল্লেখ্য, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে ঘোড়া কেনাবেচার পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে এমন ট্রেন্ড দেখা গিয়েছিল অতীতে। ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা থেকে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে গিয়ে গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে।