Municipal Elections 2022: চাপের মুখে নতিস্বীকার! উত্তর দিনাজপুরে একাধিক পুরসভায় প্রার্থী বদল ঘাসফুলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 08, 2022 | 3:14 PM

TMC Candidate List: রাতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ডালখোলা পুরসভার তিনটি ওয়ার্ড ১, ৮ ও ১০, ইসলামপুরের দুটি ওয়ার্ড ১ ও ১৫ এবং কালিয়াগঞ্জের ৪, ৮ এবং ১৭ এই তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের কথা ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল

Follow Us

উত্তর দিনাজপুর:  চাপের মুখে প্রার্থী বদল শাসক তৃণমুলের (TMC)। সোমবার, ডালখোলা কালিয়াগঞ্জ এবং ইসলামপুর পুরসভার মোট ৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল ঘটাল ঘাসফুল। এদিন রাতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ডালখোলা পুরসভার তিনটি ওয়ার্ড ১, ৮ ও ১০, ইসলামপুরের দুটি ওয়ার্ড ১ ও ১৫ এবং কালিয়াগঞ্জের ৪, ৮ এবং ১৭ এই তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের কথা ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।তৃণমুলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেই দেওয়া হল নতুন আপডেট।

ডালখোলা পুরসভা:

১নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন জিল্লুর রহমান, তার বদলে প্রার্থী হলেন আলি হোসেইন। ৮নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন রাকেশ সরকার, তাকে ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে এবং ৮নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হলেন স্বদেশ চন্দ্র সরকার। ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন তাতন বারই।

ইসলামপুর পুরসভা:

১নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন কৃষ্ণা ঘোষ দত্ত, তার বদলে প্রার্থী হলেন সঞ্জয় দত্ত।
১৫নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন দ্বিজেন পোদ্দার, তার জায়গায় প্রার্থী হলেন অর্পিতা পোদ্দার দত্ত।

কালিয়াগঞ্জ পুরসভা:

৪নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন মনোজ সরকার, তার বদলে প্রার্থী হলেন সুব্রত শর।
৮নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন কমল ঘোষ, তার বদলে প্রার্থী হলেন পরিতোষ সরকার।
১৭নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন রাজেশ গুপ্তা, তার বদলে প্রার্থী হলেন বসন্ত রায়।

প্রসঙ্গত, ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে বিভ্রাট তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, দলের ওয়েবসাইটে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, আর জেলায় জেলায় যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শুক্রবার বিকালে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

তৃণমূলের ঘরের আগুন নেমে আসে রাস্তায়। পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ বিক্ষোভ জেলায় জেলায়। বিক্ষুব্ধদের কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না নেতারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ প্রকাশ্যে।  জায়গায় জায়গায় চলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ। উত্তর দিনাজপুরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। শাসক শিবিরের অন্দরের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে আসায় কার্যত থতমত খেয়ে গিয়েছেন দলের দ্বিতীয় শ্রেণির নেতারা। কী পদক্ষেপ করা উচিত তার থই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই বিক্ষুব্ধদের জন্য বড় বার্তা দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ বলেন, “প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার আর কোনও ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। এত বড় একটা দলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।” তিনি জানিয়েছেন, কিছু সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জেলা সভাপতিদের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। পার্থ ও সুব্রতর দেওয়া তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা। সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়। প্রতীক একটাই।”

এত সবের পরেও যদি অসন্তোষ থেকে যায়, তাঁদের উদ্দেশে আরও একবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো যা নির্দেশ দিয়েছেন তাই চূড়ান্ত। এর কোনও অন্যথা হবে না। তাঁর কথায়, “দল সতর্ক করার পরেও যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দলের সিদ্ধান্ত খুবই কড়া হবে৷ তবে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন বুঝে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কী হয়?”

শাসকশিবিরের ‘মুষলপর্ব’ নিয়ে কার্যত কটাক্ষ হেনেছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলছেন তৃণমূল কার্যত অভিষেক-মমতা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বিজেপি সাংসদের  কথায়, “তৃণমূলে মুষলপর্ব চলছে। ওদের গোষ্ঠীকোন্দল তো ছিলই, এখন সেটা আরও বাড়ছে। একা সব ভোগ করব, ভোগ করব করলে এরকমই হবে। তৃণমূলে স্পষ্ট, মমতা আর অভিষেক দুই টিম আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। শাশুড়ি-বৌমার যেমন ঝগড়া হয়, তৃণমূলের অবস্থা এখন সেরকম।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

 

উত্তর দিনাজপুর:  চাপের মুখে প্রার্থী বদল শাসক তৃণমুলের (TMC)। সোমবার, ডালখোলা কালিয়াগঞ্জ এবং ইসলামপুর পুরসভার মোট ৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল ঘটাল ঘাসফুল। এদিন রাতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ডালখোলা পুরসভার তিনটি ওয়ার্ড ১, ৮ ও ১০, ইসলামপুরের দুটি ওয়ার্ড ১ ও ১৫ এবং কালিয়াগঞ্জের ৪, ৮ এবং ১৭ এই তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের কথা ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।তৃণমুলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেই দেওয়া হল নতুন আপডেট।

ডালখোলা পুরসভা:

১নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন জিল্লুর রহমান, তার বদলে প্রার্থী হলেন আলি হোসেইন। ৮নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন রাকেশ সরকার, তাকে ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে এবং ৮নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হলেন স্বদেশ চন্দ্র সরকার। ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন তাতন বারই।

ইসলামপুর পুরসভা:

১নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন কৃষ্ণা ঘোষ দত্ত, তার বদলে প্রার্থী হলেন সঞ্জয় দত্ত।
১৫নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন দ্বিজেন পোদ্দার, তার জায়গায় প্রার্থী হলেন অর্পিতা পোদ্দার দত্ত।

কালিয়াগঞ্জ পুরসভা:

৪নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন মনোজ সরকার, তার বদলে প্রার্থী হলেন সুব্রত শর।
৮নং ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন কমল ঘোষ, তার বদলে প্রার্থী হলেন পরিতোষ সরকার।
১৭নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন রাজেশ গুপ্তা, তার বদলে প্রার্থী হলেন বসন্ত রায়।

প্রসঙ্গত, ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে বিভ্রাট তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, দলের ওয়েবসাইটে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, আর জেলায় জেলায় যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শুক্রবার বিকালে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

তৃণমূলের ঘরের আগুন নেমে আসে রাস্তায়। পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ বিক্ষোভ জেলায় জেলায়। বিক্ষুব্ধদের কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না নেতারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ প্রকাশ্যে।  জায়গায় জায়গায় চলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ। উত্তর দিনাজপুরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। শাসক শিবিরের অন্দরের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে আসায় কার্যত থতমত খেয়ে গিয়েছেন দলের দ্বিতীয় শ্রেণির নেতারা। কী পদক্ষেপ করা উচিত তার থই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই বিক্ষুব্ধদের জন্য বড় বার্তা দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ বলেন, “প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার আর কোনও ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। এত বড় একটা দলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।” তিনি জানিয়েছেন, কিছু সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জেলা সভাপতিদের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। পার্থ ও সুব্রতর দেওয়া তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা। সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়। প্রতীক একটাই।”

এত সবের পরেও যদি অসন্তোষ থেকে যায়, তাঁদের উদ্দেশে আরও একবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো যা নির্দেশ দিয়েছেন তাই চূড়ান্ত। এর কোনও অন্যথা হবে না। তাঁর কথায়, “দল সতর্ক করার পরেও যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দলের সিদ্ধান্ত খুবই কড়া হবে৷ তবে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন বুঝে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কী হয়?”

শাসকশিবিরের ‘মুষলপর্ব’ নিয়ে কার্যত কটাক্ষ হেনেছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলছেন তৃণমূল কার্যত অভিষেক-মমতা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বিজেপি সাংসদের  কথায়, “তৃণমূলে মুষলপর্ব চলছে। ওদের গোষ্ঠীকোন্দল তো ছিলই, এখন সেটা আরও বাড়ছে। একা সব ভোগ করব, ভোগ করব করলে এরকমই হবে। তৃণমূলে স্পষ্ট, মমতা আর অভিষেক দুই টিম আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। শাশুড়ি-বৌমার যেমন ঝগড়া হয়, তৃণমূলের অবস্থা এখন সেরকম।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা