কলকাতা : বিধানসভা ভোটে ২০০ পার করার যে হুঙ্কার বিজেপি দিয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। ১০০-র গণ্ডিও পেরোতে পারেননি দিলীপ ঘোষরা। এবার কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনেও কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া রথ। আসন সংখ্যা দুই অঙ্কে ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি। সকালে ভোটের ট্রেন্ড আসার সময় থেকেই বিজেপির দফতর ফাঁকা। আজ বিকেলে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই পরাজয়ের সাফাই দেওয়া হল। বলা হল, কলকাতার তুলনায় গ্রামাঞ্চলে পদ্ম অনেক বেশি শক্তিশালী। সেই কারণেই কলকাতার ভোটে সেভাবে দাগ কাটা যায়নি বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতা ও হাওড়ায় তৃণমূল বেশি শক্তিশালী। সেই কারণেই এখানে আলাদা করে আগে ভোট করানো হয়েছে। আপনারা জেলার দিকে গেলে দেখবেন, অনেক জায়গায় আমরা শক্তিশালী। শিলিগুড়ি বা আসানসোল বোর্ড আমরা দখল করব। সেগুলিতে তারা ভোট করালেন না। মানুষের কাছে একটা ভ্রম তৈরি করা হচ্ছে, যে বিজেপি নয়, সিপিএম প্রধান বিরোধী।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি শক্তিশালী কলকাতার থেকে। তার সঙ্গেও অনেক কিছু ফ্যাক্টর আছে। আমরা আবেদন রাখব যে সমস্ত পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে হওয়া উচিৎ। কয়েকটা নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে হলে ভোটের সঙ্গে হিংসার যে মিশ্রণ ঘটেছে তা বন্ধ হবে।”
লোকসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার এবং বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার যা ছিল, তার থেকেও বেশি ভোট এবার কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনে পেয়েছে বামফ্রন্ট। দুপুর একটা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী, তৃণমূল ভোট পয়েছে ৭২.২ শতাংশ। বামেরা পেয়েছে ১১.৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ভোট শতাংশের হিসেবে বামেরাই কলকাতার পুরভোট দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিজেপি রয়েছে বামেদের পরে। সেই প্রসঙ্গে আজ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, “আমরাই প্রধান বিরোধী। বামপন্থীরা নো ভোট টু করে তৃণমূলকে সাহায্য করেছে। এবার সেটাই ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ছাপ্পা ভোটে দুয়েকটা সিপিএমকেও দেওয়া হয়েছে।”