নয়া দিল্লি: বাংলার ভোটের আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আহত হওয়ার ঘটনা নতুন মোড় দিয়েছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) চাপান-উতোর। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ELection Commission) জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলা হওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরী। পাশাপাশি বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় যে বিপুল উন্নয়ন হবে, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার এগরায় সভা করতে আসার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন গডকরী। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মমতার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা নিছকই দুর্ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিৎ নয়।’ এই ধরনের বিতর্ক ভোটের আবহে প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, নির্বাচন আসলে আমাদের গণতন্ত্রের ঐতিহ্য। তাই নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা উচিৎ নয়। তিনি বলেন, মানুষের রায় আমরা মেনে নেব, তৃণমূলকেও সেটাই মেনে নিতে হবে। কিন্তু এইভাবে বিতর্ক তৈরি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করা উচিত নয়।
গত বুধবার নন্দীগ্রামে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। মমতা ‘জেড প্লাস’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান। প্রশ্ন ওঠে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই দেহরক্ষী এবং রাজ্য সরকারের এসএসইউ-এর (স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট) সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও। ওই নিরাপত্তারক্ষীরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁকে চার-পাঁচ জন যুবক এসে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল বা সকলের সামনে গাড়ির দরজার ঘায়ে তাঁর পা জখম করল (প্রথমে এমনই অভিযোগ করেছিলেন মমতা), তা নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই কাটাছেঁড়া শুরু হয়। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা অধিকর্তাকে অপসারণ করেছে কমিশন। জানানো হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে, বাংলার মানুষও সেই উন্নয়ন চায়। তিনি বলেন, আমরা এক লক্ষ কোটি টাকার সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প আনতে চাই বাংলায়। জমি পেলে ও বন দফতরের অনুমোদন পেলে সেই প্রকল্প আজই কার্যকর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই কাজে কেন্দ্রীয় সরকার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।