Shankar Ghosh in Siliguri: ‘এবার শিলিগুড়িতে অশোক-মডেল ফেল’! প্রচারে নেমে হুঁশিয়ারি শঙ্কর ঘোষের
Municipal Election: এদিন শঙ্কর ঘোষ বলেন, আইএসএফ বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও মানেই ছিল না।
শিলিগুড়ি: ভোট ঘোষণা হতেই শিলিগুড়িতে প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। আর প্রচারে নেমেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের হুঁশিয়ারি, এবার শিলিগুড়িতে ফেল করবে অশোক-মডেল, উঠে আসবে গেরুয়া দলই।
এদিন শঙ্কর ঘোষ বলেন, আইএসএফ বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও মানেই ছিল না। এই জোট এককথায় নীতিহীন বলেই দাবি করেন এক সময় রাজ্য রাজনীতিতে অশোক ভট্টাচার্যের ‘শিষ্য’ হিসাবে পরিচিত শঙ্কর।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এখন বামেদের উত্থানের তো কোনও প্রশ্নই নেই। আগামী কয়েক দশক রাজ্য বা কেন্দ্রে কোনও ভূমিকাই থাকবে না বামেদের।
সোমবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরই ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে বিভিন্ন দল। এখনও প্রার্থী তালিকা সামনে আসেনি ঠিকই, তবে দলীয় প্রতীককে তুলে ধরেই চলছে প্রচার।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি। হাকিমপাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়েই চলে এই দেওয়াল লিখন। সেখানে গিয়েই বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “গেরুয়া কাপড় পরলেই আমরা সাম্প্রদায়িক? এ কেমন ভাবনা বামেদের? কোন নীতিতে এরা আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল?”
একইসঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে কার্যত কটাক্ষের সুর শোনা গেল শঙ্কর ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, “কীভাবে ভোট এলেই কাছাকাছি আসে বাম-কংগ্রেস? মানুষ এবার প্রথম শিলিগুড়িতে অ-তৃণমূল এবং অ-বাম বোর্ড গঠন করবে। বিজেপিকে আশীর্বাদ করে জিতিয়ে আনবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।”
বরাবর বামেদের শক্ত ঘাঁটি শিলিগুড়িতে কখনওই দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে সদ্যই জয় পেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। প্রাক্তন বাম নেতা হয়েও নিজের পুরনো দলকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ অধুনা বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ।
সদ্য বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শঙ্কর। এমনও শোনা যাচ্ছে শিলিগুড়ির পুর নির্বাচনেও বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করতে পারে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন শঙ্কর, দাবি সূত্রের।
শিলিগুড়ির পুরভোট উপলক্ষ্যে আগেই পরিচালন কমিটির কাজ সেরে রেখেছে বিজেপি। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৪৭ টি ওয়ার্ডকে মোট ৫ টি বরোতে ভাগ করে প্রত্যেক বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক একজন বিধায়ককে। প্রত্যেক বরোর জন্য তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি পৃথক কমিটিও। সবকটির দায়িত্বে থাকছেন বিধায়করাই।
সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন। ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগরে ভোট হচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। শিলিগুড়িতে মোট ৪৭টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ৪২১টি। ভোটার ৪,০২,৮৯৫।
আরও পড়ুন: Covovax-Corbevax: করোনা মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, একই সঙ্গে ছাড়পত্র পেল দু’টি টিকা