কলকাতা: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ ও ‘দিদিকে বল’ – দুই কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন একই নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে একাধিকবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে সেই বিষয়টাকে ‘প্রশাসনিক ব্যাপার’ বলে দাবি করলেন কমিশনার রাজীব সিনহা। দুই কর্মসূচিতে একই নম্বর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রশাসন ও দলকে এক করে ফেলা হচ্ছে বলেই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। একই সঙ্গে নির্বাচনী বিধি কার্যকর হওয়ার পরও কেন এমন একটি কর্মসূচি চলছে, সেই প্রশ্নও তুলেছিল বিরোধীরা। মঙ্গলবার কমিশন থেকে বেরনোর সময় এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল কমিশনারকে। তিনি উত্তরে বলেন, “এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। আমাদের কিছু করার নেই।”
তবে এদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, তাঁকে কমিশনার বলেছেন, ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে সেই মোবাইল নম্বর। মঙ্গলবারই কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তাঁকে নম্বর মুছে ফেলার কথা বলেছেন কমিশনার। উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কিছুদিন আগেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামে ওই কর্মসূচির জন্য একটি মোবাইল নম্বর চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অভিযোগ, এর আগে দিদিকে বল নামে যে দলীয় কর্মসূচি চালু হয়েছিল, সেখানেও দেওয়া হয়েছিল একই মোবাইল নম্বর।
তবে ভোট গ্রহণের দফা নিয়ে এদিন কোনও উত্তর দিতে চাননি তিনি। একদফাতেই ভোট হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধীরা দফা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। তবে কমিশনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
আদালতের নির্দেশের পর কমিশন কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চাইলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী এসেছে রাজ্যে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কমিশনার বলেন, আমরা লিখেছি। উল্লেখ্য, কমিশন ইতিমধ্যে বার দুয়েক চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর।