মালদহ: মনোনয়ন পেশ ও প্রত্যাহারের পর্ব শেষ। তবে এখনও জারি ভাঙন। শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের হাত ধরলেন ২০০-র বেশি কর্মী। ভোটের আগে মালদহে তৃণমূলের বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যাঁরা দল বদল করেছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য মমতাজ বেগম। মমতাজে স্বামী আমিনুল হক, হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র সহ দুই শতাধিক তৃণমূল কর্মী এদিন যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
দলত্যাগ করা নেতাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি হয়েছে তৃণমূলে। বিশেষত টিকিট না পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতাজ বেগম। তাঁর দাবি, রাত পর্যন্ত তিনি জানতেন, তাঁর নাম রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। তৃণমূল ভবন থেকে নাকি তিনি জানতে পেরেছিলেন যে তাঁর টিকিট নিশ্চিত। কিন্তু তালিকা হাতে পেয়ে দেখেন, সেখানে তাঁর নাম নেই।
সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতারা আরও বলছেন, মালদহের তৃণমূল নেতৃত্ব দলটাকে ‘দুর্নীতিমূলে’ পরিণত করেছেন। দুর্নীতিতে যুক্ত হতে পারছেন না বলেই দল জায়গা দেয়নি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এই দলবদলে অক্সিজেন পেয়েছে কংগ্রেস। তবে দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘তৃণমূলে এতদিন থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন তাঁরা। এখন টিকিট না পেয়ে দলবদল করছেন। এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।’ তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, টিকিট না পাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত কেন দুর্নীতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুললেন না এই নেতারা?