বসিরহাট: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলভাঙন অব্যহত। এবার কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন দুই শতাধিক নেতা কর্মী। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সোমবার ওই এলাকায় তৃণমূলের তরফ একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভাতেই প্রায় ২০০ জন কংগ্রেস নেতা, কর্মী ও সমর্থক যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের তৃণমূলের প্রার্থী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রাম থেকে কংগ্রেস নেতা আরফাজউদ্দিন গাজী ও বাকিবুল্লাহ মোল্লা-সহ দুই শতাধিক নেতা, কর্মী ও সমর্থক এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন। উল্লেখ্য, তাঁদের মধ্যেই এমন কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। ফের তাঁরা আবার দলে ফেরত এলেন। তাঁদের বক্তব্য, ভুল বুঝিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেখানে গিয়ে কোনও কাজই করতে পারছিলেন না।
দলত্যাগীদের মধ্যে একাংশের বক্তব্য,দীর্ঘদিন কংগ্রেস করেছেন। কিন্তু তাঁদের দলে কোনও গুরুত্ব নেই। তাই তাঁদের দলবদল। এক জন বলেন, “১৮-১৯ বছর ধরে কংগ্রেসের ছাতার তলায় আছি। কিন্তু এই দল করে কী হল, দল তো দেখল না। তাই আজ তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছি।”
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে এলাকার উন্নয়নে সামিল হতেই তাঁদের দলবদল বলে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ফের কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করায় পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের শক্ত সংগঠন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার এসসি-ওবিসি সেলের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ মণ্ডল, “সিপিএম কংগ্রেসের জোটবন্ধন, মানুষ ভালভাবে নেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ারে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ তৃণমূলে এসেছেন।”
যদিও কংগ্রেসের বসিরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি কাদের সরদার বলেন, “আসলে এটা আই ওয়াশ। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করতেন কিংবা বছর দুয়েক ধরে তৃণমূল করছেন, তাঁদেরকে নতুন করে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।”