ভাঙড়: ভাঙড়ে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন (Nomination of Panchayat Election) পর্বে তিন ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে একজন আইএসএফ (ISF) সমর্থক ও বাকি দু’জন তৃণমূল (TMC) সমর্থক বলে দাবি করা হচ্ছিল। তৃণমূল সমর্থক রাজু নস্করের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগেই ১৬ তারিখ মৃতের আত্মীয় নওশাদ সিদ্দিকীদের (Nawsad Siddiqui) বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ২৮৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। এবার ওই তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনায় নওশাদ-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ সহ আরও অন্যান্য ধারায় এফআইআর দায়ের করা হল কাশীপুর থানায়। ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের খাতায় এফআইআর কপিতে প্রথম নামটিই রয়েছে নওশাদ সিদ্দিকীর।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই তুমুল অশান্তির সাক্ষী থেকেছে ভাঙড়। বোমাবাজি। গুলি। কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রক্ত ঝরেছে। স্বজনহারার বুকভাটা কান্নার দৃশ্য ধরা পড়েছে। শুধু ভাঙড়েই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, একজন আইএসএফ কর্মী এবং বাকি দুজন তৃণমূল কর্মী। অগ্নিগর্ভ সেই পরিস্থিতির পর রাজ্যপাল ছুটে গিয়েছিলেন ভাঙড়ে। কড়া ব্যবস্থা নিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকেও। রুটমার্চ চলেছে। এরিয়া ডমিনেশন চলেছে। পুলিশ সুপার নিজে মাঠে নেমেছিলেন আইন-শৃঙ্খলা ফেরাতে।
এদিকে ভাঙড়ের অশান্তিতে আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাতেও কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই ঘটনায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। মূল অভিযোগ ছিল, আরাবুল ও তাঁর ছেলের নেতৃত্বেই সেদিন জমায়েত করেছিল দুষ্কৃতীরা। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন আরাবুল। তাঁর দাবি ছিল, ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেনই না। আপাতত অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে তপ্ত ভাঙড়ের রাজনীতি। এখন দেখার পরবর্তী সময়ে এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ঘটনা পরম্পরা কোন দিকে মোড় নেয়।