বাঁকুড়া: আগে কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৃথক দল গঠন করলে বাদুল্লাড়ার মোল্লা সাহেব তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকে টানা ৬ বার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল প্রার্থী। জয়ও মিলেছে। এবারও লড়াইয়ের ময়দানে ৭২ বছর বয়সী মোল্লা সাহেব। প্রবীণতম তৃণমূলের এই প্রার্থী এখন নিজে সাইকেল চালিয়ে প্রচারে চষে ফেলছেন এলাকা।
বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁচুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদুলাড়া গ্রাম সংখ্যালঘু প্রধান। এই গ্রামে একসময় দাপিয়ে কংগ্রেস করেছেন পেশায় ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব মোল্লা। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল গঠন করলে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। সেবারই গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হন। ব্যবসায় সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কায় পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা তাঁকে প্রার্থী হতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
সকল বাধা টপকে ১৯৯৮ সালে মোতালেব শুধু নিজে জিতেছেন তাই নয়, আঁচুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করেন। এরপর থেকে ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ সাল পরপর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। একাধিকবার সংরক্ষণের গেঁরোয় পড়ে আসন বদল করলেও জয়ের ধারা অব্যহতই আছে আব্দুল মোল্লার। ২০২৩ সালে ফের ৭২ বছর বয়সী মোল্লা সাহেবকে প্রবীণতম প্রার্থী হিসাবে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।
নিজের সাইকেলে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে ঘুরে প্রচার সারছেন আব্দুল মোতালেব মোল্লা ওরফে মোল্লা সাহেব। মোল্লা সাহেবের দাবি, মানুষের বিপদে আপদে তিনি সারা বছর পাশে থাকেন। তাই মানুষ তাঁকে যথেষ্ট ভালোবাসে। তাঁর এলাকায় উন্নয়নও করেছেন। আর তার নিরিখে এবারও তিনি ভোটে জিতবেন বলে আশাবাদী।
প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখের ভিড়ে মোল্লা সাহেবের উপরেই ভরসা রাখছে দল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বয়সে প্রবীণ হলেও মানসিকতায় নবীন মোল্লা সাহেব। তাই তেমন সমস্যা হচ্ছে না। মোল্লা সাহেবের এমন জনপ্রিয়তাকে রীতিমত সমঝে চলছেন বিরোধী সিপিএম প্রার্থীও। তাঁর কথায়, যদি ভাল কাজ করে থাকেন, ভোট পাবেন। তা করলে পাবেন না। শক্ত লড়াই। এত দিনের জয়ী প্রার্থী, লড়াই তো কঠিন হবেই।