জন্মছিলেন খারজিরিয়া গ্রামে, জয়পুর (রাজস্থান)। বাবা জাগিরদার খানের ছিল টায়ারের ব্যবসা। আর মা বেগমজান ছিলেন টংক হাকিম পরিবারের মেয়ে।
ইরফানের পুরো নাম, শাহাবজাদে ইরফান আলি খান। তাঁর ইংরেজি নামে রয়েছে এক্সট্রা ‘r’ । ২০১২ সালে তিনি নামে তা যোগ করেন। নিউমেরলোজি নয়। নিজের নাম ওভাবে শুনতে ভাল লাগে বলে ইরফান নামে এ বদল আনেন।
এসি সার্ভিসিংয়ের কাজ দিয়ে শুরু হয়েছিল ইরফানের মুম্বইয়ের জীবন। কিংবদন্তী অভিনেতা রাজেশ খান্নার বাড়ির এসিও সারিয়েছিলেন ইরফান খান।
ক্রিস্টোফার নোলানের ছবি ‘ইন্টারস্টেলার’কে সটান ‘না’ বলেছিলেন ইরফান। কারণ তিনি সে সময়ে ‘লাঞ্চবক্স’ এবং ‘ডি-ডে’ ছবির জন্য আগেভাগে কথা দিয় ফেলেছিলেন।
ছ’ফুট এক ইঞ্চি হাইট। ইন্ডাস্ট্রিতে লম্বায় তিনি সহজে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পারতেন। কিন্তু এই হাইটের জন্য ‘সালাম বম্বে’ ছবিতে তাঁর চরিত্রকে কাটাছাঁট করে ছোট করে দেওয়া হয়।
২০০১ সালে ‘দ্য ওয়ারিয়ার’ ছবি ইরফানের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ছবিতে তিনি ছেলেন মুখ্য চরিত্র। তার আগে একের পর এক ফ্লপ ছবির মুখ দেখছিলন তিনি। ছবির সাফল্যের পর থেকে তিনি হয়ে উঠলেন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অংরেজি মিডিয়াম’-এর ফিল্ম প্রোমোশন থাকতে পারেননি। তবে এক শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন। এতটাই স্পর্শ করে তাঁর কণ্ঠস্বর যা এখনও দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়।