এক খুদে ডান্স বাংলা ডান্স-এ প্রতিযোগী। এই শো জিতে সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চায়। অঙ্কুশ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “শেষ কবে বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছে?” উত্তরে খুদে জানায়, গত বছর অগস্ট মাসে তার দেখা হয়েছে তারবাবার সঙ্গে। আর কবে শেষ দেখা হয়েছে মায়ের সঙ্গে? খুদে উত্তর দেওয়ার সময়েই বিচারকের আসনে বসে যীশু সেনগুপ্ত বলেন, “ও বলল তো! গত বছর কালীপুজোর সময়ে মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে।” অঙ্কুশ এরপর বলেন, তাঁর যখন খুদের সমান বয়স ছিল, মায়ের হাত ধরে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতেন। এই খুদেকে দেখে, তাই বিচারক অঙ্কুশ অনুভব করেছেন, জীবনযুদ্ধে এই খুদেকে কেউ হারাতে পারবে না। এই নাচের মঞ্চ শুধুই যে ভালো ডান্সারদের খোঁজ দিচ্ছে তা নয়। মানুষের জীবনের লড়াইয়ের গল্প তুলে আনছে। যা দেখে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাচ্ছেন দর্শকরা।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ পূজা হালদারকে ঘিরেও এখন দর্শকদের উন্মাদনা। এই প্রতিযোগী সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে সে। এই মঞ্চে দারুণ নাচ করেছে পূজা। কিন্তু বিচারকের আসনে যীশু সেনগুপ্ত, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা আর কৌশানী মুখোপাধ্যায় যখন তাঁর প্রশংসা করে, তখন পূজা আর উত্তর দিতে পারে না। হাত নেড়ে সে মনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করে। প্রথমে বুঝতেই পারেননি বিচারকরা। তাঁরা একজন-অন্যজনের দিকে তাকান। তারপর চোখে জল নিয়ে মঞ্চে আসেন পূজার মা। তিনি খোলসা করেন, ‘২০১০-এ আমরা বুঝতে পারি, পূজা কথা বলতে পারবে না। ও কথা বলতে পারে না। শুনতে পারে না। মেয়ের এই অবস্থা দেখার পর ওর বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।’ সিঙ্গল মাদারের এই লড়াইয়ের কথা শুনে সেখানে উপস্থিত সকলেরই চোখে জল চলে আসে।