‘ব্লাউজ খুলে সোফায় ঠেলে ফেলে দিয়েই…’, বলিউড নায়কের সঙ্গে রিয়েল লাইফ যৌনতার হুবহু বর্ণনা দিলেন সাধারণ ঘরের মেয়ে

ব্যাপারটা যে এমন ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অষ্টাদশী জামিলা (পরিবর্তিত নাম)। বলিউডি সিনেমা দেখতেন, বেশ কয়েকজন নায়ককে মনেও ধরেছিল তাঁর। কিন্তু বলিউডের সেই হ্য়ান্ডসাম হাঙ্ক নায়কের সঙ্গে হোটেল রুমে এমনটা ঘটে যাবে, তা যেন আজও বিশ্বাস করতে পারেন না। তবুও সেই স্মৃতি হাতড়ালেই জামিলা মুচকি হাসেন, লজ্জা পান।

প্রায় দুবছর আগের ঘটনা। হঠাৎ করেই বন্ধুর সূত্র ধরে একটি পার্ট টাইম কাজের অফার পেলেন জামিলা। সেই কাজ পার্ট টাইম হলেও, পারিশ্রমিক ছিল বেশ মোটা অঙ্কের। তারপর কাজের বিবরণ শুনে তো রীতিমতো আহ্লাদে আটখানা হয়েছিলেন তিনি। তাই বন্ধুর প্রস্তাবে চটজলদি হ্য়াঁ করে দেন। তবে সেই প্রস্তাবের হ্য়াঁ করায় যে এমনটা ঘটবে, তা তখনও আন্দাজ করতে পারেননি সবে আঠারোতে পা দেওয়া তন্বী। কাজটি ছিল বলিউডের এক নামজাদা নায়কের ফিল্মি প্রচারে ছায়াসঙ্গী হওয়া।

বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন কসমোপলিটিনে সেদিনের ঘটনার পুরো বিবরণ দিলেন আঠারোর জামিলা। জামিলা জানালেন, কীভাবে নায়কের সঙ্গে এক সাক্ষাৎ, সেকেন্ডে গভীর অন্তরঙ্গতায় বদলে গেল। কীভাবে নায়কের সঙ্গে শরীরী খেলায় মেতে উঠেছিলেন তিনি।

ঘড়িতে তখন সবে দুপুর ১ টা। ইভেন্ট শুরু হবে সন্ধে ৬ টায়। সুন্দর করে সেজেগুজে শহরের সবচেয়ে বড় ফাইভস্টার হোটেলে পৌঁছে গেলেন জামিলা। একে তো বলিউড ইভেন্ট। তার উপর এই নায়কের উপর হালকা ক্রাশ ছিল জামিলার। তাই জামিলার সাজে ছিল চমক। পরেছিলেন ঝলমলে শাড়ি। সঙ্গে মানানসই বাহারি ব্লাউজ ও গয়না।

সাড়ে ১২ টা নাগাদ আগেভাগেই হোটেলে পৌঁছে গেলেন জামিলা। যে ঘরে নায়ক এসে উঠবেন, সেই ঘরে আগে থেকে গিয়ে গোজগাজ শুরু করলেন। ফুলদানিতে সবে হলুদ ফুলের গোছা ঠিক করছিলেন তিনি, ঠিক সেই সময়ই রুমের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লেন ‘মস্তানি’ নায়ক! পরনে আরমানির লম্বা জ্য়াকেট, সাদা একটি গোলগলা টিশার্ট। টাইট টিশার্টের ভিতর থেকে ঠেলে বেরিয়ে আসছিল পুরুষালি পেশিওয়ালা বুক। জেল মাখা লম্বা চুল। হোটেলের রুম জুড়ে ম ম করছিল স্ট্রং পারফিউম। জামিলা জানতেন, বলিউডের এই নায়ক আজব ফ্য়াশনের জন্য বিখ্যাত। ঝলমলে পোশাকে ফিল্মি পার্টিতে হাজির হয়ে যান বিন্দাস। সেক্স, নগ্নতা নিয়েও নায়ক বেশ বিন্দাস। মেয়েরা তো তাঁর মূল দুর্বলতা। তবুও প্রেমখানা কিন্তু জমিয়ে করে এক নম্বর নায়িকাকেই বিয়ে করে এক মেয়ের বাবা। সেই সুঠাম চেহারার নায়ক যখন চোখের সামনে দাঁড়িয়ে, জামিলার তখন বুক ধরফড় করছে আর মাথায় ঘুরছে এসব কথা। নিশ্বাসও যেন আগের থেকে একটু উষ্ণ। আপদমস্তক নায়ককে দেখতে গিয়ে হঠাৎই জামিলার চোখ পড়ল নায়কের চোখের দিকে। জামিলা স্পষ্ট বুঝতে পারলেন, নায়কও তাঁকে আপদমস্তক দেখে চলেছেন। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে,  জামিলা একটু হাসলেন, তবে নায়ক হাসলেন না। তখনও অপলক তাকিয়ে।

পরিবেশটা একটু স্বাভাবিক করতে জামিলা বলে উঠলেন হ্যালো স্যার। তারপর অনুমতি নিয়ে রুম থেকে বের হতে গিয়েই, হঠাৎই নায়ক জামিলার হাত ধরে টানলেন। তারপর কাছে টেনে সোজা ঠোঁটে ঠোঁট। কিছুক্ষণ জামিলার ঠোঁটে ঠোঁট দিয়েই রাখলেন নায়ক। চলল লম্বা চুমু। তারপর নায়কের গরম ঠোঁট, জামিলার কানের পাশে, গলার পাশে ঘুরতে শুরু করল।

এরপরই নিজে হাতে জামিলার শাড়ি খুলে দিলেন লেডি কিলার নায়ক। জামিলার শরীরে রাখতে দিলেন না ব্লাউজও। ততক্ষণে নায়কের শরীরে একটি সুতোও নেই। নায়কের পেশিবহুল বুকে জামিলাও একের পর এক চুমু খেতে শুরু করলেন। হঠাৎ হ্য়াঁচকা টানে জামিলাকে সোফায় ঠেলে দিলেন নায়ক। তারপরই শুরু চরম খেলা। জামিলা এই সাক্ষাৎকারে জানালেন, আমাদের দুজনেরই টাইমিং ছিল অসাধারণ। দুজনেই শরীরী খেলায় একসঙ্গে গোল করলাম। আমার শরীর জুড়ে নায়কের পারফিউমের গন্ধ। এক অদ্ভুত প্রশান্তি। সব শেষে সোফা থেকে উঠে পোশাক পরতে গিয়েই, হঠাৎ দরজায় টোকা। ঘরে ঢুকলেন নায়কের ম্য়ানেজার। ততক্ষণে আমরা দুজনই নিজেদের সামলে নিয়েছি। সুযোগ বুঝে রুম থেকে বের হওয়ার সময় একটা কথাই মাথায় ঘুরতে থাকল। যে নায়ককে কাছ থেকে দেখতে মেয়েরা উন্মাদ হয়ে যায়, সেই নায়কের সঙ্গেই শরীরী খেলায় মেতে উঠলাম! এই স্মৃতি সারাজীবনের। বড্ড মধুর।

তথ্যসূত্র- কসমোপলিটিন