গত কয়েকদিনে হেয়ার ড্রেসার তনুশ্রী দাসের খবরে তোলপাড় টলিপাড়া। আচমকাই তাঁর আত্মহত্যার চেষ্টার খবর সামনে আসতেই চমকে ওঠেন সকলে। অভিযোগ তাঁর হাত থেকে একের পর এক কাজ কেড়ে নিতে থাকে হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশনের লোকজন। কাজ হারিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন তনুশ্রী দাস নামে ওই হেয়ার ড্রেসার। সেই অবসাদ থেকেই শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যার করা চেষ্টা করেন বলে জানাচ্ছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর রাত আটটা নাগাদ বাড়ির বাথরুম ঢুকেছিলেন তনুশ্রী দেবী। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ না বেরোনোয় সন্দেহ হয় মেয়ে অঙ্কিতার! দরজার কাছে যেতে কেরোসিনের গন্ধ পায়, দরজা ভেঙে উদ্ধার করে মাকে। তারপর থেকেই ভর্তি বাঙ্গুর হাসপাতালে।
তনুশ্রী দাসকে বরখাস্ত করা হয়েছিল কেন? কী ছিল তাঁর দোষ, এবার সেই বিষয়টা সামনে আনলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করে বললেন, ‘সূত্রের খবর, হেয়ার ড্রেসার গিল্ড তনুশ্রী দেবীকে তিন মাসের জন্য কাজ থেকে সাসপেন্ড করে। পরবর্তীকালে তাঁকে বলা হয় গিল্ড যে কাজ দেবে সেই কাজই শুধু তিনি করতে পারবেন। বাইরে থেকে কোনও কাজ নিয়ে এলে তিনি করতে পারবেন না। এরইমধ্যে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির জন্য বড় কাজের অফার তিনি পান। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানেও বাধা! একদিন আগে জানতে পারেন ওই কাজও তিনি করতে পারবেন না। গিল্ডের তরফেই তাঁকে এ কথা নাকি তাঁকে জানানো হয়। ‘
এখানেই শেষ নয় তিনি আরও বলেন, ‘এই কদিন আগে একটা মেগা সিরিয়ালে কাজ নিশ্চিত হয়েও তারপর জানানো হয় তাঁকে বাদ দেওয়া হল। সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার কথা ভাবে। তনু আমাদের সহকর্মী, তাই আমার এত কথা লেখা। চাইলে ‘আমার কী?’ বলে এড়িয়ে যেতে পারতাম কিন্তু ভাবলাম কাজ তো কারও বাপের সম্পত্তি নয়, তাহলে কাজ কেড়ে নেওয়া হবে কেন? আশা করব, ও দ্রুত বিচার পাবে।’