মহানায়ক উত্তম কুমারকে নিয়ে এক দারুণ তথ্য টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বাঙালি অভিনেতা-পরিচালক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তাঁর জীবনে লেখা প্রথম চিত্রনাট্য প্রথমে উত্তম কুমারকেই পড়িয়েছিলেন চিরঞ্জিত। এবং সেই ছবিতে তাঁকেই কাস্ট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি চিরঞ্জিত। আচমাই উত্তম কুমারের মৃত্যু হয়। চিরঞ্জিতের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। এ সম্পর্কে চিরঞ্জিত যা বলেছেন :
“মহানায়কের মহাপ্রয়াণের ৪৪ বছর পেরিয়ে গেল। তবু বাঙালির কাছে তাঁর উজ্জ্বলতা একচুলও কমেনি। এর কারণ, তিনি আছেন আমাদের অন্তরে। যদি কোনও বাঙালি চোখ বন্ধ করে ভাবতে চেষ্টা করেন, যে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে সবচেয়ে ভাল কাকে দেখাবে, তা হলে শুধু উত্তমদার হাসিমুখে কোচা হাতে চেহারাটা ছাড়া আর কাউকে পাবেন না। বাংলা ছবির সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ মহানায়ক। আমার লেখা প্রথম স্ক্রিপ্ট উত্তমদাকে শোনানোর পরম সৌভাগ্য হয়েছিল– ‘মানুষের নাম ঈশ্বর’। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে ছবিটি তাঁর করার আগেই তিরোধান হল। আজকাল আমরা অনেকেই অনেককিছু বলি, কিন্তু যথার্থ অর্থে কিংবদন্তি হলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। তিনি সর্বতম সর্ববুযুগের মৃত্যুহীন দূত। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।“
উত্তমকুমারের মৃত্যু দিবস পরের মাসে, জুলাইয়ের ২৪ তারিখ। সাল ১৯৮০। ৪৪ বছর আগে তিনি চলে গিয়েছেন। কিন্তু আজও তাঁর জনপ্রিয়তা একচুলও নষ্ট হয়নি। তিনি চিরকালীন। তিনি থেকে যাবেন। আজও উত্তমকুমারের ছবি এবং তাঁকে নিয়ে লেখা কোনও বই কিংবা লেখা সামন উৎসাহে মনগ্রাহী দর্শক-পাঠকদের কাছে।