বড়দিনে জ্যাকলিনকে বড় উপহার কনম্যান সুকেশের, জেল থেকে কী লিখলেন তিনি?
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়ানোর পর থেকে শিরোনামে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। জেলের বাইরে যখন ছিলেন তখনও নায়িকাকে দিয়েছেন একগুচ্ছ উপহার। আবার হাজতবাসের পরেও নায়িকাকে ভরিয়ে দিয়েছেন উপহারে।
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়ানোর পর থেকে শিরোনামে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। জেলের বাইরে যখন ছিলেন তখনও নায়িকাকে দিয়েছেন একগুচ্ছ উপহার। আবার হাজতবাসের পরেও নায়িকাকে ভরিয়ে দিয়েছেন উপহারে। জেলে বসেই জ্যাকলিনকে একের পর এক প্রেমপত্র লিখেছেন তিনি। এ বছরের বড়দিনে অভিনেত্রীকে কী উহার দিলেন ‘সান্তা’ সুকেশ? ফ্রান্সের একটি আঙুরের বাগান জ্যাকলিনকে উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এই প্রথম উপহার নয়। এর আগেও একগুচ্ছ উপহার পেয়েছেন নায়িকা। সে কথা প্রকাশ্য়েও এসেছে। জ্যাকলিনের মন পেতে কখনও প্রমোদতরী, কখনও পারস্যের বিড়াল, কখনও ঘোড়া উপহার দিয়েছেন। তবে ২০২৪ এ বড়দিনের উপহার সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে আবারও একটি চিঠি লিখেছেন সুকেশ।
সুকেশ লিখেছেন, “উৎসবে তোমার থেকে দূরে থাকতেই বড় বিরক্তি। যতই তোমার থেকে দূরে থাকি, তোমার ‘সান্তা’ হতে কে আটকায়!” উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে জ্যাকলিনের উদ্দেশ্যে অরিজিত্ সিংয়ের গান দিয়ে প্রেমের ইস্তেহার করেছিলেন সুকেশ। আর্থিক তছরুপি কাণ্ডে জেল হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কনম্য়ান সুকেশ এবং জ্যাকলিন। তবে তাঁর সঙ্গে কি আদৌ সম্পর্ক ছিলেন নায়িকা? সেই উত্তর কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি। এই কাণ্ডের পর থেকে জ্য়াকলিন সুকেশের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কিন্তু সুকেশ এখনও নায়িকার প্রেমে পাগল।
জেলে বসেই নায়িকার জন্য একগুচ্ছ চিঠি লেখেন। এ দিকে এক সময় জ্যাকলিনকে নাকি অনেক ছবিতে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিলেন এই সুকেশ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও কম নয়। তাই জ্যাকলিনকে বিপুল জিনিস উপহার দিয়েছিলেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে ৫২ লক্ষ টাকার সাদা ঘোড়া ও ৯ লক্ষ টাকার পারশিয়ান বিড়াল অভিনেত্রীকে উপহার দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এ ছাড়াও দুই জোড়া হীরের কানের দুল, দুটি হারমাস ব্রেসলেট, বার্কিন ব্যাগ, দামী গাড়ি এসবই ছিল উপহারের তালিকায়। অন্যদিকে ইডিকে দেওয়া জ্যাকলিনের বয়ান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে সুকেশকে তিনি চেনেন। তাঁর দাবি অগস্ট মাসে প্রতারণায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর সুকেশের সঙ্গে তাঁর আর কথা হয়নি।