AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গর্ভে ভিভ রিচার্ডসের সন্তান! মা হওয়ার খবর পেয়ে প্রথমেই কী করেছিলেন নীনা?

নীনা কন্যা মাসাবা যখন তাঁর গর্ভে এল, তখন তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল বলিপাড়ায়। নীনা বিরুদ্ধে কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নীনা চুপ করে সহ্য করেছিলেন সব। আঘাত নিয়েই এগিয়ে চলেছিলেন। কারণ তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন সন্তানের ব্যাপারে। তাঁর আর রিচার্ডের ভালবাসার উপহারকে একেবারে নষ্ট করতে চাননি তিনি। বিয়ে না হলেও, হতে চেয়েছিলেন রিচার্ডের সন্তানের মা।

গর্ভে ভিভ রিচার্ডসের সন্তান! মা হওয়ার খবর পেয়ে প্রথমেই কী করেছিলেন নীনা?
| Updated on: Dec 05, 2025 | 2:46 PM
Share

সিঙ্গল মাদার হিসেবে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না, তা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। তাঁর উপর সেই সন্তানের বাবা যদি হন কিংবদন্তি ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস, তাহলে নিন্দা যে হবে, তা খুব ভালই বুঝেছিলেন নীনা। হয়েও ছিল তাই। নীনা কন্যা মাসাবা যখন তাঁর গর্ভে এল, তখন তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল বলিপাড়ায়। নীনা বিরুদ্ধে কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নীনা চুপ করে সহ্য করেছিলেন সব। আঘাত নিয়েই এগিয়ে চলেছিলেন। কারণ তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন সন্তানের ব্যাপারে। তাঁর আর রিচার্ডের ভালবাসার উপহারকে একেবারে নষ্ট করতে চাননি তিনি। বিয়ে না হলেও, হতে চেয়েছিলেন রিচার্ডের সন্তানের মা।

নীনা তাঁর আত্মজীবনী’সচ কহু তো’ মা হওয়ার অনুভূতি, কঠিন যাত্রাকে তুলে ধরেছেন। কীভাবে দিনের পর দিন কাছের মানুষদের কাছেও অপমানিত হতে হয়েছিল তাঁকে, তা লিখেছেন আত্মজীবনীতে। তবে তাঁর একটাই আশা ও ভরসা ছিল ভিভ রিচার্ডস।

নীনা লেখেন, ”যেদিন জানতে পারলাম আমি মা হতে চলেছি, সেদিন পা থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। বুঝতেই পারছিলাম না ঠিক কী করা উচিত। কিন্তু আমি ঠিক করেছিলাম, এই সন্তানকে আমি রাখব। তাই কোনও কটাক্ষেই কান দিইনি। তবে আমার একটাই ভয় ছিল। রিচার্ড কি মেনে নেবে? ”

নীনা আরও লেখেন, ”অনেক ভাবনা চিন্তা করে, যখন ফোনে করি রিচার্ডকে, তখন উত্তরটা শুনে অবাক হয়ে যাই। রিচার্ড আমাকে স্পষ্ট বলে, তোমার সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। তোমার পাশে রয়েছি। আমাদের ভালবাসার প্রমাণ অক্ষত থাকুক সেটাই চাই। যে কোনও ব্যাপারেই তোমার পাশে আছি। ”

সেদিন রিচার্ডের এমন উত্তর আশা করেননি নীনা। নীনা ভেবেছিলেন, সন্তানকে হয়তো মেনে নেবেন না রিচার্ড। কিন্তু হল উল্টোটাই। নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন নীনা। রিচার্ডকে পেয়ে, তাঁর সন্তান মাসাবাকে পেয়ে নীনার জীবন পূর্ণতা পেয়েছে।