কলকাতা: প্রি-ওয়েডিং হোক বা পোস্ট-ওয়েডিং, তাঁদের নিয়ে জল্পনার যেন শেষ নেই। বিয়ের পর থেকে তা যেন একধাক্কায় কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের নিয়ে কৌতূহলেরও অন্ত নেই টলিপাড়ার। এদিকে কাঞ্চন আবার সেই কবেই নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। বর্তমানে রাজ্যের শাসক শিবির থেকে উত্তরপাড়ার বিধায়ক। স্বামীর দেখাদেখি এবার কী সেই রাস্তায় হাঁটবেন স্ত্রীও? এসেছিলেন টিভি ৯ বাংলায় স্টুডিয়োতে। দিলেন খোলামেলা জবাব।
রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠতেই শ্রীময়ীর অকপট জবাব, “আমি তো কোনও রাজনীতি বুঝি না। আমার সিলেবাসেও ছিল না। আমি পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্রীও ছিলাম না। আমি চাই সাদামাটা জীবন-যাপন করতে। আমি এখন অভিয়ন করছি। কিন্তু, অভিনেত্রী হব কোনওদিন ভাবিনি।” কিন্তু কাঞ্চন কী রাজনীতিতে আগের মতোই আগ্রহী? বিগত কয়েকদিনে একাধিকবার নানা বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর নাম। অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে দলের অন্দরেও। এখন কী ভাবছেন কাঞ্চন নিজে? আবার বিধায়ক হতে চান?
প্রশ্ন শুনে খানিকটা থামলেন কাঞ্চন। হাসিমুখেই দিলেন কিছুটা ‘সাবধানী’ উত্তর। খানিক থমকেই বললেন, “এখনও তো এক বছর বাকি। ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পে পশুপতিনাথের মন্দির ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এখনও ৩৬৫ দিন বাকি। দেখা যাক কী হয়।” কিন্তু যদি আর সুযোগ না আসে, দল যদি তাঁকে আর পছন্দ না করেন তাহলে? কাঞ্চনের অকপট উত্তর, “আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন। আমিও তাঁকে ভালবাসতাম। তাই আমি এসেছিলাম। তিনি যদি বলেন তোমার দরকার নেই। তাহলে দরকার নেই। আমি চেয়ার বা চেয়ারম্যান হতে আসিনি। যে সময় তাঁকে ছেড়ে সবাই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন আসার কথা। আমার মনে হয়েছিল থাকা উচিত। ছিলাম। এখন যদি মনে হয় আর দরকার নেই, কাজ ফুরিয়ে গিয়েছে, আমার তাতে কোনও অসুবিধা নয়। আমার কাছে কোনও আহ্বানও নেই, বিসর্জনও নেই।”