আরজি কর নিয়ে প্রথম থেকেই সরব অরিজিৎ সিং। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একের পর এক প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এমনকি এই ইস্যুতে গানও বেঁধেছেন তিনি। তবে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারই অরিজিৎকে খোঁচা দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পরোক্ষে সুবিধেবাদী বলে কটাক্ষও করেন। এবার শ্রেয়া ঘোষাল এ শহরে সেপ্টেম্বরে নিজের শো পিছিয়ে দিতেই কী বলছেন কুণাল? অরিজিতের মতো তাঁকেও কি খোঁচা তাঁর? নাকি হাঁটলেন উল্টো পথে?
এ দিনই শ্রেয়া এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “কয়েক দিন আগে শহরে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা আমার মনে ভয়ঙ্কর ভাবে প্রভাব ফেলেছে। একজন মহিলা হয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাই ১৪ সেপ্টেম্বর আমার যে ট্যুরটি হওয়ার কথা ছিল সেটা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী কবে এই শো হবে সেই তারিখটা এখনই বলতে পারছি না। তবে আপাতত এই অনুষ্ঠানটি হবে না।” শ্রেয়া জানান অক্টোবরে কোনও একটা তারিখ ঠিক করা হবে। এর পরেই কুণাল সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রেয়ার প্রশংসা করেই বলেন, “শ্রেয়া ঘোষাল যা বলেছেন তাকে সাধুবাদ জানাই। তাঁর ঘোষণাটি বাস্তবসম্মত। আমরা সবাই ন্যায়বিচার চাইছি। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। সেই জায়গা থেকে শ্রেয়া যদি শো পিছিয়ে দিতে চায় তবে তার প্রতি সমর্থন রয়েছে। শ্রেয়া ঘোষাল আরজি করের ঘটনা নিয়ে যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঠিক তেমনই বুঝিয়ে দিয়েছেন এটি শুধু কলকাতার বা বাংলার সমস্যা নয়। তাঁর পোস্টে এটা স্পষ্ট নারীদের সুরক্ষার বিষয় গোটা ভারতবর্ষের সমস্যা। আরও বলতে গেলে গোটা পৃথিবীর সমস্যা। যেখানে পুরুষ ও নারী এই দুইটি শাখার একসঙ্গে চলাই স্বাভাবিক সেখানে এই ধরনের অপরাধ যে সারা বিশ্বের জন্য কুৎসিত সেই বার্তাই শ্রেয়া দিয়েছেন। ”
তবে অরিজিতের ক্ষেত্রে কুণাল হাঁটেন অন্যপথে। লেখেন, “অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভাল। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ। সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ, ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগৎ, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?” যদিও অরিজিৎও চুপ থাকেননি। কুণালের এই মন্তব্যের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেল ‘আত্মজোয়ার জ্বালো’ থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতে লেখা সেই প্রচলিত বাগধারা, ‘ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি।” নেটিজেনদের একাংশের ধারণা কুণালকে উদ্দেশ্য করেই অরিজিতের ওই পোস্ট।