চরম অর্থকষ্ট অমিতাভ বচ্চনের, টাকা রোজগারের চেষ্টায় এলেন কলকাতার রেসকোর্সে! ঘোড়ার পিছনে কত টাকা লাগালেন বিগ বি?
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। অমিতাভ বচ্চন বলিউডের শহেনশাহ হলেও, তাঁর জীবনের শুরুটা ছিল স্ট্রাগলে ভরা। কলকাতার এক পার্সেল অফিসে চাকরি, অভিনেতা হওয়ার জন্য স্ট্রাগল, আকাশবাণীতে পার্টটাইম কাজ।

কলকাতায় অমিতাভ বচ্চনের যে চাকরি জীবনের শুরু, সে খবর নতুন নয়। তবে চরম অর্থকষ্টে ভুগে কলকাতায় বিগ বি যেটা করেছিলেন, তা হয়তো অনেকেরই অজানা।
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। অমিতাভ বচ্চন বলিউডের শহেনশাহ হলেও, তাঁর জীবনের শুরুটা ছিল স্ট্রাগলে ভরা। কলকাতার এক পার্সেল অফিসে চাকরি, অভিনেতা হওয়ার জন্য স্ট্রাগল, আকাশবাণীতে পার্টটাইম কাজ। অমিতাভের কলকাতার কিসসার এই অধ্যায় বহুবার, বহুজায়গায় বিগ বি নিজেই বলেছেন। তবে কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে অমিতাভ জানিয়ে ছিলেন, তাঁর জীবনের আরও এক ঘটনার কথা। যা কিনা শুনলে তাক লেগে যায়।
অমিতাভ যখন কলকাতায় চাকরি করতেন, তাঁর একমাসের উপার্জন ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। কোনওমতে তাঁর একার সংসার চলত। খুব ইচ্ছা ছিল কলকাতায় একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট কেনার। কিন্তু টাকা আর জমিয়ে উঠতে পারছিলেন না। এক বন্ধুর কথায়, ৪০০ টাকা ধার নিয়ে কলকাতার রেসকোর্সে গিয়েছিলেন অমিতাভ। অনেক ভেবে চিন্তা সাদা রঙের ঘোড়া বাছলেন বিগ বি। লাগালেন পুরো ৪০০ টাকা। সেদিন অমিতাভের বেছে নেওয়া ঘোড়া প্রথম না হলেও, দৌড়ে তৃতীয় হয়েছিল। আর অমিতাভ পেয়েছিলেন ৮০০ টাকা।
ছেলের এই কীর্তির একথা জানতে পারেন অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন। ছেলেকে চিঠি লিখে বলেন, বিনা পরিশ্রমে যে টাকা রোজগার হয়, সে টাকা থাকে না। এতে সম্মানও নষ্ট। এরপর থেকে আর কোনও দিন রেসকোর্সে পা রাখেননি অমিতাভ।
