অনামিকা সাহা, টলিপাড়ায় যিনি দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করে চলেছেন। কখনও তাঁর চোখে স্নেহ মায়া মমতা, কখনও আবার তাঁর চোখে রাগ, তেজ। দুই বিপরীত ধর্মী চরিত্রেই তিনি দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করতে পারেন একথা ঠিক, তবে দর্শক দরবারে নিজের জায়গা পাকা করেছেন ভিলেন হিসেবেই। আজও তিনি বাংলার সেরা ভিলেন। যেখানে গ্রামের মায়েরা এখনও তাঁদের সন্তানদের খাওয়াতে বসিয়ে বিন্দুমাসীর ভয় দেখান। TV9 বাংলার সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি।
কী বললেন অনামিকা?
হ্যাঁ, হ্যাঁ। টালিগঞ্জে একমাত্র মহিলা ভিলেন আমি। একেবারে। কখনওই কোনও মেয়ে এমনভাবে ভিলেনের চরিত্র করেনি। আমি ‘ঘাতক’-এ মূল ভিলেন ছিলাম। আমি লরি চালিয়েছি জিতকে চাপা দেব বলে। সেই চরিত্র করার পর ছবি যখন হিট হল, সে আর কী বলব আপনাকে। রজতাভ (অভিনেতা রজতাভ দত্ত)-ও করেছে প্রচুর ভিলেনের রোল। তবে তাকে নিয়ে কি এমন মাতামাতি হয়? গ্রামেগঞ্জে গেলে এগুলো শুনতে পেতাম, মায়েরা শিশুদের খাওয়ানোর সময় বলে, ‘এই খেয়ে নে, নয়তো বিন্দুমাসিকে ডেকে আনব’। একটা শিশুকে কোলে নিয়ে তার মা দাঁড়িয়ে আছে, কী সুন্দর দেখতে শিশুটিকে। আমার খুব ভাল লাগে বাচ্চা। আমি দু’হাত বাড়িয়ে বলি, ‘এসো, আমার কাছে এসো, হঠাৎ দেখি আমায় দেখে কঁকিয়ে উঠল’। (বাচ্চাটা) ওর মাকে জড়িয়ে ধরে… সে কী অবস্থা। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে রেখে এসে ওর মা আমায় বলে, ‘দিদি কিছু মনে করবেন না, ও ভয় পেয়ে গিয়েছে, বলছে বিন্দুমাসি আমায় মারবে।’ এখনও পর্যন্ত গ্রামে গেলে মানুষজন বলে, ‘আমরা তো বাচ্চাকে বিন্দুমাসির ছবি দেখাই। বলি, যদি বদমায়েশি করিস তবে বিন্দুমাসিকে ডেকে আনব।’