‘ওদের মেরুদণ্ড নেই’, সৌমিতৃষার মন্তব্যে ক্ষিপ্ত অরিত্ররা, পাল্টা বিঁধলেন সজোরে
Soumitrisha kundu: টিভিনাইন বাংলায় মুখ খুলেছিলেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত পুজোর কার্নিভ্যালে হাজির থাকবেন তিনি। সেই মতোই হলুদ শাড়ি পরে ছিলেন হাজিরও।
টিভিনাইন বাংলায় মুখ খুলেছিলেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত পুজোর কার্নিভ্যালে হাজির থাকবেন তিনি। সেই মতোই হলুদ শাড়ি পরে ছিলেন হাজিরও। তবে তাঁর মন্তব্য নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্যজুড়ে। তিনি যা বলেছেন তার তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে সমাজের বিভিন্ন মহলে। চুপ নেই তারকারাও। অরিত্র দত্ত বণিক থেকে শুরু করে রূপা ভট্টাচার্য– সৌমিতৃষার মন্তব্যের সঙ্গে তীব্র বিরোধিতা পোষণ করে হয়েছেন সরব। শুধু তাই নন চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধেছেন তাঁকে।
অরিত্র লেখেন, “যারা চিকিৎসকদের দাবীর পক্ষে লড়ছেন তাঁদের মেরুদণ্ড নেই, বা হয়তো স্পন্ডেলাইটিস রয়েছে, যেমন আমি। এ ছাড়া আর কার কার বাতের ব্যথা আছে হাত তুলুন। চিন্তা নেই, চিকিৎসকেরা আমাদের চিকিৎসা করে দিতে আপত্তি করবেন না।” অন্যদিকে রূপা ভট্টাচার্য অভিনেত্রীকে ‘পুঁটি মাছ’-এর সঙ্গে তুলনা করে লেখেন, “একটু খানি জলে পুঁটি মাছ ফরফর করে”। কী এমন বলেছিলেন সৌমিতৃষা যা নিয়ে এত বিতর্ক?
এ দিন কার্নিভ্যালে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে টিভিনাইন বাংলাকে তিনি বলেন, “আমি যাচ্ছি। ওখানে গিয়ে যদি বিতর্কের মুখে পড়তে হয়, তবে সবাই যা করবেন, আমিও তাই করব। আমি আন্দোলনের বিরোধী নই। তবে মণ্ডপে মণ্ডপে যে হারে ভিড় দেখলাম, তাতে তো বোঝা গিয়েছে যে উৎসব হয়েছে। এবার নতুন জামা পরে ঠাকুর দেখার পর কার্নিভাল এড়িয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। বছরকার দিন, মা চলে যাচ্ছে, সকলের মতো আমিও সেখানে উপস্থিত হব। প্রতিবাদ প্রতিবাদের মতোই হবে কার্নিভালে যাওয়া মনে প্রতিবাদের বিরোধিতা করছি এমনটা একেবারেই না। আর ট্রোল হওয়ার ভয়ে যদি কেউ ভাবেন যাবেন না, তবে আমি বলব, তাঁদের মেরুদণ্ড নেই।” এর পরেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।