ফের পরিচালনায় ফিরলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন
‘অন্ধকারে আলো’ একটি সমাজ-রাজনীতির ছবি। একটি সত্য ঘটনার অবলম্বনেই বোনা হয়েছে ছবির গল্প।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন। বহু বছর ছবি করেননি। তাঁর শেয ছবি ২০১৫ সালে ‘ভ্রষ্ট তারা’। এরপর পরিচালকের টুপি আর মাথায় ওঠাননি তিনি। শেষমেশ ফের পরিচালনায় ফিরলেন। একেবারেই চুপি চুপি। তাঁর ছবির শুটিংও শেষ। ছবির নাম ‘অন্ধকারে আলো’।
‘অন্ধকারে আলো’ একটি সমাজ-রাজনীতির ছবি। একটি সত্য ঘটনার অবলম্বনেই বোনা হয়েছে ছবির গল্প। একটি গ্রামে ডাইনি হত্যা নিয়ে গল্পের কাঠামো বানান পরিচালক। একজন চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গোটা ঘটনা দেখা হয়। এই চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার। তিনিও একজন চিকিৎসক। এছাড়া একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে জয় সেনগুপ্ত এবং পরিচালক গৌতম ঘোষকে। মধুমন্তী মৈত্র এই ছবিতে একজন সংবাদ পাঠিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, “বাস্তবে আমি যা করি সিনেমাতেও আমি তাই করেছি। বাস্তব আর সিনেমা-বাস্তবের মিশেলে তৈরি হয়েছে আমার চরিত্রটা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধুমন্তী পরিচালকের স্ত্রী।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
বার বারই আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট অশোক বিশ্বনাথনের ছবিতে উঠে এসেছে। ‘অন্ধকারে আলো’ও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু একটা ছবি বানাতে এতটা লম্বা গ্যাপ কেন? পরিচালক বলেন, “খুব একটা লম্বা গ্যাপ নয়, চার-পাঁচ বছরের একটা গ্যাপ। আসলে এই মাঝের সময়টায় আমি প্রচুর ডকুমেন্টারি করেছি। বেনারস, চৈতন্যদেব, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৫টা মত ডকুমেন্টারি করেছি। এই ছবিটাও অনেক দিন আগে শেষ করে ফেলেছি। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতে রিলিজ করতে পারেনি।”
পরিচালক জানিয়েছেন ছবিটি দু’টো ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরেই ছবিটি রিলিজ করবে।
