একের পর এক নোংরা ভাষায় আক্রমণ অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্যকে। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল অভিনেত্রীর। যদিও তাঁর অভিযোগ বার বার প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও লাভ হচ্ছে না। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা দুই মাধ্যমেই অভিনেত্রীকে দেখেছেন দর্শক। মাঝে অনেক দিনের বিরতির পর আবারও ‘আনন্দী’ সিরিয়ালে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। কাজের ব্যস্ততা তো আছেই। কিন্তু এই ঘটনায় খুবই বিরক্ত হয়েছেন রূপা। রীতিমতো মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর ধারণা আরজি কর কাণ্ডে প্রথম দিন থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলেই এই ভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে রূপার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অশালীন কথা বলা হত। প্রথমে ইগনোর করেছি। তারপর আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের কিছু পোস্ট করলে, সেখানেও অত্যন্ত খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি জিম করছি এমন একটা ছবি দিয়ে অশ্লীল কথা বলা হয়েছে। আমার মুখ দিয়ে ফেক ভিডিয়ো বানিয়ে ভাইরাল করে দেওয়া হবে, তেমন মন্তব্যও এসেছে। আমার এক বন্ধু প্রতিবাদ করেছিল। তিনি ছেলে হওয়ায় তাঁকে বলা হয়েছে যৌন হেনস্থার কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। লালবাজারে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করেছি। এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। আইনি পদক্ষেপ করছি।”
সেই সঙ্গে রূপা যোগ করেন, “অনেকে মনে করেন, আমি এখন কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ নই বলে, আমার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। কিন্তু আমার পাশে দর্শকরা আছেন, নাগরিকরা আছেন।” প্রসঙ্গত অতীতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন রূপা।
তবে সমাজমাধ্যমের পাতায় অশালীন ভাষায় আক্রমণের পর চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। স্পষ্ট উত্তর দিতে পিছু পা হননি তিনি। রূপা ফেসবুকে লেখেন, “কলকাতা পুলিশ আবার পোস্ট করলাম। পাবলিক দেখুন আপনারা এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন নাকি চুপ করে থেকে এদের আরও উত্সাহ দেবেন। আমি এই পোস্টটা করতাম না। কিন্তু জনগণও দেখুন পুলিশ কাদের উত্সাহ দিচ্ছে।” এখনও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।