বুক ফাটা কান্না, মাকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন পর্দায় আদৃত-বান্ধবী তন্বী

May 15, 2024 | 3:43 PM

Tonni Roy: মাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তন্বী। সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। যা চোখের কোলে জল এনে দেয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মায়ের হাত আগলে ধরে বসে তন্বী। সেই ছবির সঙ্গে এক খোলা চিঠিতে বুকের কষ্ট উজার করে দিলেন তিনি।

বুক ফাটা কান্না, মাকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন পর্দায় আদৃত-বান্ধবী তন্বী

Follow Us

তন্বী রায়। ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মিঠাই ধারাবাহিকে যিনি সিদ্ধার্থ অর্থাৎ আদৃত রায়ের ঘনিষ্ট বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন তোর্সা। সেই তন্বীর জীবনে হঠাৎই নেমে এল অন্ধকার। সবে মাত্র বাড়ি কিনে তা নিজে হাতে সাজিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। গৃহপ্রবেশে অসুস্থ মাকে সঙ্গে করে নিয়েও এসেছিলেন। সেই ভিডিয়ো ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিলেন তিনি। মায়ের হাত ধরেই গৃহপ্রবেশ। কিন্তু সেই হাত চিরতরে স্থির হয়ে গেল। মাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তন্বী। সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। যা চোখের কোলে জল এনে দেয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মায়ের হাত আগলে ধরে বসে তন্বী। সেই ছবির সঙ্গে এক খোলা চিঠিতে বুকের কষ্ট উজার করে দিলেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন–

‘মা ও মা… এই হাত দিয়েই তো আগলে রাখতে আমাদের। বেরোলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়তে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার গাড়িটা দেখা যেত। সবাইকে নিজের হাতে ইউনিক জিনিস বানিয়ে দিতে। এই হাতেই বছরের পর বছর স্টেরয়েডস, স্যালাইন সব সহ্য করেছ। তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ, কিন্তু আমাদের দেখাওনি। নিজের ভাইকে ছোট বয়সে চলে যেতে দেখেছ, মা-বাবাকে হারিয়েছ। এখন তাঁদের সঙ্গেই আছো নিশ্চয়ই? মা ও মা…, তুমি দেখেছ আমার প্রথম নিঃশ্বাস। আমি দেখলাম তোমার শেষ নিঃশ্বাস। অক্সিজেন মাস্কের ভিতর থেকে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে, আসতে আসতে আওয়াজ কমল। নিঃশ্বাস তখনও চলছে, ভাবলাম এই তো আবার লড়াই করে ফিরছ বোধহয়। কিন্তু দেখলাম চোখের পাতা পড়ছে না তোমার। নিঃশ্বাস তখনও চলছে। ডাক্তার এসে বলল, আর কিছু সময়। এত কিছু করেও বাপি আর নিজেকে সামলাতে পারল না। হাসপাতালের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। আমি তোমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মা মা করে ডাকছি। ১০ সেকেন্ডে একবার করে গলার শিরাটা উঠছে। মানে মা বেঁচে আছে। মা-এর বেডে আমার চোখের জল পড়তেই নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সেকেন্ড পেরিয়ে গেল, শিরাটা থেমে গেল। মা…’

তন্বীর এই পোস্ট দেখা মাত্রই মানসিকভাবে তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। তাঁর মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করছেন। কেই আবার সমবেদনা জানিয়ে ভরসা জোগাচ্ছেন তন্বীর মনের।

Next Article