Dilip Kumar: ‘ট্র্যাজিক হিরো’র মৃত্যু! জেনে নিন দিলীপ কুমারের ব্যক্তিগত জীবনের ৭ অজানা তথ্য
শুভঙ্কর চক্রবর্তী |
Jul 07, 2021 | 4:43 PM
আজ তাঁর ৯৮ তম জন্মদিন। দিলীপ কুমার। সত্যজিত রায় যাঁকে বলেছেন বলিউডের ‘আল্টিমেট মেথড অ্যাক্টর’। একের পর এক অসামান্য সব ছবিতে অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করে দিয়েছে তিনিই বলিউডের ‘ট্র্যাজিক হিরো’।
জন্মদিনে রইল তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ৭ অজানা তথ্য।
1 / 7
‘দিলীপ কুমার’ আসল নাম নয়: তাঁর নাম মহম্মদ ইউসুফ খান। সে সময়ের বলিউডের নামকরা অভিনেত্রী দেবিকা রানি দিলীপ কুমারকে নিজের নাম বদলে ফেলতে অনুরোধ করেন। এতে অভিনেতার বলিউডে কাজ পেতে সুবিধে হবে। ‘ইউসুফ’ থেকে ‘দিলীপ’ নামে পৌঁছনোর মাঝে আরও দুটো নাম দিলীপ রেখেছিলেন, উদয় কুমার এবং ভামান কুমার।
2 / 7
মধুবালা: ‘তারানা’ ছবির শুটিংয়ে প্রথম প্রেমে পড়েন মধুবালার সঙ্গে। সাত বছর চলেছিল প্রেম। প্রেমের সেই গল্প ছিল ভীষণ চর্চিত। তবে মধুবালার পরিবারের এ সম্পর্কে কোনও মত ছিল না, তাই প্রেম পরিণতি পায়নি। ‘নয়া দওড়’ ছবির শুটিংয়ের সময় দু’জনের মামলা আদালত অবধি গড়ায়। এবং দুজন আলাদা হয়ে যান।
3 / 7
জন্মস্থান পাকিস্তান: দিলীপ কুমারের জন্ম পাকিস্তানের পেশাওয়ারে। ওঁর বাবা লালা গুলাম সরওয়ার আলি খান একজন জমিদার এবং ফল ব্যবসায়ী ছিলেন। খান পরিবারের পেশোয়ার ও দেওলালীতে নিজেদের বাগান ছিল । তবে ১৯৩০ সালের শেষের দিকে ‘খান’ পরিবার চলে আসে চেম্বুরে (বম্বে)।
4 / 7
স্যান্ডউইচ স্টল: বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে ১৯৪০ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান দিলীপ। পুনে পৌঁছে একজন ক্যান্টিন কনট্রাক্টরের সঙ্গে দেখা করেন। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকার জন্য চাকরিও জুটিয়ে ফেলেন তিনি। ক্যান্টিনে স্যান্ডউইচের স্টল খোলেন তিনি। কনট্রাক্ট শেষে ৫০০০ টাকা উপার্জন করেন। পরে সে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। শুধু স্যান্ডউইচ নয় এক সময়ে ফলও বেচেছেন দিলীপ কুমার।
5 / 7
কুড়ি বছরের ছোট স্ত্রী: ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। তখন তাঁর বয়স ৪৪। আর স্ত্রী শায়রা বানুর বয়স তখন ২২। ১৯৮১ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। হায়দ্রাবাদের একজন নামজাদা ব্যক্তিত্ব, আসমা সাহিবাকে বিয়ে করেন। তবে সে বিয়ে টেকেনি। ১৯৮৩ সাল বিচ্ছেদ ঘটে।
6 / 7
ডিপ্রেশনের প্রকোপ: এমন ট্র্যাজিক চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করেছিলেন যে তিনি সে সকল চরিত্র থেকে বেরতে পারতেন না। ১৯৫০ সালে তাঁর অভিনীত সব চরিত্র দেখে মানুষ তাঁর নাম দিয়ে দেন ‘ট্র্যাজেডি কিং’। বাস্তব জীবনে দিলীপ কুমার হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পরের দিকে ‘আয়ান’, ‘আজাদ’ ও ‘কোহিনূর’ ছবিতে হালকা চালের চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন।
7 / 7
শেরিফ: ২০০০-২০০৬ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য সভার সদস্য ছিলেন দিলীপ কুমার। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ১৯৭৯-১৯৮২ সাল পর্যন্ত দিলীপ কুমারকে বোম্বের (মুম্বই) ‘শেরিফ’ হিসেবে নিযুক্ত করেন।